ঘড়িতে বাজে সাড়ে ১১টা। এই মুহুর্তে কিচেনে যাওয়া ঠিক হবে নাকি নিজের রুমে!চিন্তার বিষয়....!১টার মধ্যে দুপুরের খাবার টেবিলে দিতে হবে,আম্মা-আব্বা এই সময়ই খেতে বসেন,দেরি হলে তাদের জন্য অপেক্ষা করা কষ্টকর। আসলে এই বয়সে এসে অপেক্ষা করার ধৈর্য্য খুব একটা থাকে না। বাসার বাকিরা ঘড়ি ধরে ১টার মধ্যেই যে খেতে বসবে তা না,তবে তিনটার মধ্যেই সবার খাবার শেষ হয়ে যায়,সো...সাত-পাঁচ ভাবতে ভাবতে কিচেনে যাবার সিদ্ধান্তই নিল মায়া। আসলে সকালের নাস্তার ঝামেলা শেষ করে ঘর গুলো গুছাতে গুছাতে ১১টা বেজে গেছে কখন টেরই পায়নি!শ্বশুড় কে চা দিয়ে ভেবেছিল নিজের ঘরে যেয়ে চা খেতে খেতে একটু বাসায় ফোন করবে,২দিন আগে আম্মুর সাথে কথা হয়েছিল আর হয়নি!গতকাল নাকি নানি এসেছেন বাসায়,তার সাথেও এখনো কথা হয়নি!
এই নতুন সাইটিতে আপনারা বাংলায় ভালো ভালো গল্প পাবেন bangla galpo, gopal varer galpo, nitikathar galpo, bhuter galpo,hasir galpo
Saturday 1 August 2015
Thursday 7 May 2015
অসামাজিক
চুপ করে আর কতক্ষন বসে থাকবে বুঝতে পারছে না নিলু!প্রায় ১ঘন্টা হয়ে আসল।এতক্ষন কি চুপ করে থাকা যায়?!!এতক্ষন কথা না বলে থাকাটা খুবই কষ্টকর। দম বন্ধ হয়ে আসছে মনে হয়!উফফ...!
পানি খাওয়া শেষ করে গ্লাসটা রাখার জন্য ডায়েনিং এ এসে যাওয়ার সময় একবার ড্রয়িং রুমের দিকে চোখ ফেরালো।সাঈদ এক মনে সোফায় বসে বই পড়ছে।
রাগে জ্বলতে লাগল নিলু,আশ্চর্য মানুষ!একটা মানুষ তার সাথে রাগ করে সকালের নাস্তা না করে কথা বন্ধ করে বসে আছে,অথচ তার কোন বিকার নাই!মনে হচ্ছে যেন এই বাসায় সে ছাড়া আর কেউ থাকে না,অদ্ভুদ!!এই রকম মানুষের সাথে কিভাবে সারা জীবন পাড় করবে নিলু সেটাই ভেবে কূল পেল না...!সরি বলা তো দূরের কথা,জনাবের চোখ ও এদিকে পড়ে না...!
পানি খাওয়া শেষ করে গ্লাসটা রাখার জন্য ডায়েনিং এ এসে যাওয়ার সময় একবার ড্রয়িং রুমের দিকে চোখ ফেরালো।সাঈদ এক মনে সোফায় বসে বই পড়ছে।
রাগে জ্বলতে লাগল নিলু,আশ্চর্য মানুষ!একটা মানুষ তার সাথে রাগ করে সকালের নাস্তা না করে কথা বন্ধ করে বসে আছে,অথচ তার কোন বিকার নাই!মনে হচ্ছে যেন এই বাসায় সে ছাড়া আর কেউ থাকে না,অদ্ভুদ!!এই রকম মানুষের সাথে কিভাবে সারা জীবন পাড় করবে নিলু সেটাই ভেবে কূল পেল না...!সরি বলা তো দূরের কথা,জনাবের চোখ ও এদিকে পড়ে না...!
Thursday 2 April 2015
বীরবলের স্বর্গ যাত্রা
রাজা আকবর মোঘল সাম্রায্যের সব চেয়ে বড় রাজা ছিল। তিনি সবারই সুখ শান্তির কথা মাথায় রেখে তাদের ভালো রাখার চেষ্টা করতেন। তাঁর একজন মন্ত্রী ছিল, নাম বীরবল, সেছিল খুবই বুদ্ধিমান ও আকবরের খুবই বিশ্বস্থ পাত্র। বীরবলের বুদ্ধির কথা সকলেই জানতো তাই আকবরও তাঁকে একটু বেশিই ভালো বাসতেন। আর সেই কারনেই অনেক মন্ত্রী পাত্র মিত্র তাঁকে হিংসা করতো আর তাকে রাজার থেকে আলাদা করে দেবার চেষ্টা করতো। একবার এক মন্ত্রী বীরবলকে সরিয়ে দেবার জন্য আকবরের নাপিতের সাথে ফন্দি আটলো। রাজার একজন নাপিতের কাছেই সব খৌরকর্ম করতো। সেই নাপিত বীরবলকে একেবারে সহ্য করতে পারতো না তাই মন্ত্রী সাথে মিলে ফন্দি এটেছিল।
Sunday 15 March 2015
ধূর্ত শেয়াল ও মরা হাঁতির গল্প
একটা জঙ্গলে একটা শেয়াল থাকতো, সে খুবই চালাক ছিল কিন্তু সে বুড়ো হয়ে যাওয়ার জন্য বেশি কাজ করতে পারতো না। কাজ বলতে তো একটাই, শিকার করে খাবার জোগাড় করা। শিকার করতে না পারলে খাবার তো আর আপনা আপনি তার কাছে আসবে না। তাই বুড়ো হওয়া সত্তেও তাকে কোন রকমে নিজেকেই খাবার জোগাড় করতে হত। কোন কোন দিন খাবার জুটত আবার কোন দিন আধপেটা খেয়ে বা না খেয়ে থাকতে হতো। এভাবেই সেই বুড়ো শেয়ালের দিন কাটছিল। একদিন জঙ্গলে ঘুরতে
Wednesday 11 March 2015
প্রথম পুরস্কার
জীবনে সেই যা আমার পুরস্ককার লাভ – সেই প্রথম আর সেই শেষ। কিন্তু এ রকমটা যেন তোমাদের কারও কখনও না ঘটে।
ক্লাস টেন এ প্রমোশন পেয়েই মামাকে গিয়ে জানালাম।
টেন এ উঠেছিল! বলিস কিরে! মামা তো হতবাক। টেনে উঠলি? বাঃ!
এখনই বাঃ কি মামা? আসছে বছরে এনট্রান্স পরীক্ষা দেব, তা জানো?
বলিস কিরে! আমাদের বংশে কেউ যে কখনো এনট্রান্সের চৌকাঠ মাড়ায়নি। সাত জন্মে না। সাত পুরুষে নয়।
সাত পুরুষের খবর রাখি না, তবে তিন পুরুষের জানি। আমার মামা বাংলা পাঠশালায় পড়ুয়া, ছাত্রবৃত্ত পাশ। তারপর তিনি আর এগোন নি। নিজের ব্যবসা নিয়েই রয়েছে।
ক্লাস টেন এ প্রমোশন পেয়েই মামাকে গিয়ে জানালাম।
টেন এ উঠেছিল! বলিস কিরে! মামা তো হতবাক। টেনে উঠলি? বাঃ!
এখনই বাঃ কি মামা? আসছে বছরে এনট্রান্স পরীক্ষা দেব, তা জানো?
বলিস কিরে! আমাদের বংশে কেউ যে কখনো এনট্রান্সের চৌকাঠ মাড়ায়নি। সাত জন্মে না। সাত পুরুষে নয়।
সাত পুরুষের খবর রাখি না, তবে তিন পুরুষের জানি। আমার মামা বাংলা পাঠশালায় পড়ুয়া, ছাত্রবৃত্ত পাশ। তারপর তিনি আর এগোন নি। নিজের ব্যবসা নিয়েই রয়েছে।
Tuesday 10 March 2015
মহাসংকটে পুরন্দর
পুরন্দরের আজ বড়ই দুর্দিন।
এমন ঘোর বিপদে সে বহুকাল পড়েনি। স্যান্যালবাবুদের ছোট ছেলে রাজুকে ভীমরুলের কামড় খাওয়াবার দোষটা পুরোপুরি তার ঘাড়ে বর্তেছে অথচ পুরন্দর ব্যপারটার মাথা মুন্ডু কিছুই জানত না। পরিকল্পনাটা পুরোটাই ধুরন্দরের।
হয়েছিল কি দ্বাদশবাড়ির জঙ্গলে কাঁচামিঠে আমের লোভে গিয়েছিলো দুভাইতে। ধুরন্ধরই লোভ দেখিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানেই একটা গাছের মগডালে পুঁটুলিতে বাঁধা কিছু সোনার গহনা পেয়েছিল তারা। বাড়িতে এনে পুরন্দরের স্কুল ব্যাগে লুকিয়ে রেখেছিল গহনাগুলো। বিকেলে অবশ্য দারোগা কাকু এসে নিয়ে গিয়েছিল পুঁটুলিটা। খবরটা বেশ চাউর হয়ে গিয়েছিল এলাকায়।
এমন ঘোর বিপদে সে বহুকাল পড়েনি। স্যান্যালবাবুদের ছোট ছেলে রাজুকে ভীমরুলের কামড় খাওয়াবার দোষটা পুরোপুরি তার ঘাড়ে বর্তেছে অথচ পুরন্দর ব্যপারটার মাথা মুন্ডু কিছুই জানত না। পরিকল্পনাটা পুরোটাই ধুরন্দরের।
হয়েছিল কি দ্বাদশবাড়ির জঙ্গলে কাঁচামিঠে আমের লোভে গিয়েছিলো দুভাইতে। ধুরন্ধরই লোভ দেখিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানেই একটা গাছের মগডালে পুঁটুলিতে বাঁধা কিছু সোনার গহনা পেয়েছিল তারা। বাড়িতে এনে পুরন্দরের স্কুল ব্যাগে লুকিয়ে রেখেছিল গহনাগুলো। বিকেলে অবশ্য দারোগা কাকু এসে নিয়ে গিয়েছিল পুঁটুলিটা। খবরটা বেশ চাউর হয়ে গিয়েছিল এলাকায়।
Friday 6 March 2015
মধুসূদন মামার গল্প
একবার এক সময়ের কথা – একটা গ্রামে একটা বিধবা মহিলা বাস করতো, তার আর কেও ছিল না, ছিল একটা ছেলে তার বয়স আট বছর। মহিলাটির নাম ছিল কমলা আর তার ছেলের নাম ছিল বাদল। সেই মহিলা ছিলেন অত্যন্ত গরিব, ভিক্ষা করের তাদের দিন চলতো। তবুও তার ইচ্ছা ছিল তার ছেলেকে লেখাপড়া শেখাবে। তাদের গ্রামে কোন পাঠশালা ছিলো না, তাই তাকে পাশের গ্রামের পাঠশালায় ভর্তি করে দিয়েছিল।
Sunday 1 March 2015
কৃপন শেয়ালের গল্প
একবার এক সময়ের কথা, একটা জঙ্গলের পাশের একটা গ্রামে একটা শিকার থাকতো, তার বাড়িতে সে আর তার বৌ দুজনাতে থাকতো। সে একজন শিকারি ছিল, তাই শিকার করে সেইসব পশুপাখির মাংস বিক্রি করে, যে টাকা পয়সা পেতো তাই দিয়েই তার সংসার চলতো। শিকার করার জন্য কোন কোন দিন তাকে গভীর জঙ্গলের ভেতরেও যেতে হোত, আবার কখনো বা খুব সহযেই শিকার পেয়ে যেতো।
Friday 27 February 2015
গল্পটা পুরা শোনা হল না ( ভূতের গল্প )
Wednesday 25 February 2015
Saturday 21 February 2015
কদমতলীর কনে = ভূত নিয়ে একটি সত্য ঘটনা - satyi bhooter ghatana
যারা ভূতে বিশ্বাস করেন না, বা করতে চান না তাদেরকে আজকে একটা সত্য ঘটনা শুনাব-
আমি সবসময় ঢাকা থেকে রাত্রে বাড়িতে যায়। কারন ছুটি পাই কম আবার চিন্তা করি রাত্রে চলে গেলে পরদিন সকালটা বাসা থেকেই শুরু করা যাবে। ছাত্র অবস্থায় ক্লাস শেষ করেই রওনা হয়ে যেতাম। এখনও অফিস শেষ করেই সোজা মহাখালী – তারপর ময়মনসিংহ – হালুয়াঘাট। মোটামুটি ছয়ঘন্টা।
একদিন ক্লাস শেষ করে বাড়ী রওনা হলাম। আমাদের বাজারে যেতে যেতে রাত ১২ টা বেজে গেল। বাজারে গিয়ে দেখি সুবাস।আমার বাল্য বন্ধু। আমাকে দেখেই বলল আমরা তো প্রতিদিন রাত্রে কদমতলী আড্ডা মারি, তুই খেয়ে চলে আসিস
বাজারেই আমার বাসা। বাসায় গিয়ে আম্মার সাথে কথা বলতে বলতে খাওয়া শেষ করলাম।১টার দিকে বাজারে গিয়ে কাউকে না পেয়ে ভাবলাম সবাই হয়তো চলে গেছে। আমি দুইটা সিগারেট কিনে কদমতলী রওনা হলাম। বাজার থেকে কদমতলী সিকি কি.মি.।
আমি সবসময় ঢাকা থেকে রাত্রে বাড়িতে যায়। কারন ছুটি পাই কম আবার চিন্তা করি রাত্রে চলে গেলে পরদিন সকালটা বাসা থেকেই শুরু করা যাবে। ছাত্র অবস্থায় ক্লাস শেষ করেই রওনা হয়ে যেতাম। এখনও অফিস শেষ করেই সোজা মহাখালী – তারপর ময়মনসিংহ – হালুয়াঘাট। মোটামুটি ছয়ঘন্টা।
একদিন ক্লাস শেষ করে বাড়ী রওনা হলাম। আমাদের বাজারে যেতে যেতে রাত ১২ টা বেজে গেল। বাজারে গিয়ে দেখি সুবাস।আমার বাল্য বন্ধু। আমাকে দেখেই বলল আমরা তো প্রতিদিন রাত্রে কদমতলী আড্ডা মারি, তুই খেয়ে চলে আসিস
বাজারেই আমার বাসা। বাসায় গিয়ে আম্মার সাথে কথা বলতে বলতে খাওয়া শেষ করলাম।১টার দিকে বাজারে গিয়ে কাউকে না পেয়ে ভাবলাম সবাই হয়তো চলে গেছে। আমি দুইটা সিগারেট কিনে কদমতলী রওনা হলাম। বাজার থেকে কদমতলী সিকি কি.মি.।
Friday 20 February 2015
গোপালের উপবাস gopaler upbas
কোনো এক একাদশীর দিন গোপাল দেখে উপবাস শেষে গুরুদেব ষোলো প্রকারের পদ দিয়ে সেই রকমের ভোজ দিচ্ছেন। গুরুদেবের খাবারের বহর দেখে গোপাল ঠিক করে ফেলে আগামীবার গুরুদেবের সাথে উপবাস দিতে হবে। উপবাসের অজুহাতে যদি ষোলো পদের ভোজ পাওয়া যায় তবে কষ্টের চেয়ে লাভই বেশি!
সেই পরিকল্পনা মতো সামনের একাদশীতে গোপালও গুরুদেবের সাথে উপবাস করে বসে রইলো। কিন্তু বেলা গড়িয়ে যায় গুরুদেব আর জলযোগে যান না! শেষ-মেষ ক্ষুধার জ্বালায় আর থাকতে না পেরে
Thursday 19 February 2015
খরগোশের থিসিস লেখা khargoser thisis lekha ( majar golpo )
দৃশ্য ১: বনের মধ্যে চমৎকার রৌদ্রোজ্জ্বল এক দিন। খরগোশটি তার নিজের গর্ত থেকে বের হয়ে কম্পিউটার চালু করে, ওপেন অফিসের ওয়ার্ড ওপেন করে, টাইপ করতে লাগল। হাঁটতে বেরিয়ে খরগোশকে দেখে পা টিপে টিপে তার কাছে আসল এক শেয়াল।
শেয়াল: [থাবা বের করে ধূর্ত হাসি দিয়ে] কী করছিস তুই?
খরগোশ: থিসিস লিখছি আমার, আগামী পরশু জমা দিতে হবে।
শেয়াল: [তাচ্ছিল্যভরে] অ! তা কীসের থিসিস?...
খরগোশ: ওহ, আমার থিসিসের বিষয়
শেয়াল: [থাবা বের করে ধূর্ত হাসি দিয়ে] কী করছিস তুই?
খরগোশ: থিসিস লিখছি আমার, আগামী পরশু জমা দিতে হবে।
শেয়াল: [তাচ্ছিল্যভরে] অ! তা কীসের থিসিস?...
খরগোশ: ওহ, আমার থিসিসের বিষয়
বোকামির ফল
একবার একটা জলাসয়ে একটা কাচ্ছপ বাস করতো। তার নাম ছিল হান্দু। সে যে জলাশয়ে বাস করতো সেখানে সারা বছর জল থাকতো, তার জলও ছিল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। সেখানে অনেক মাছ ছিল, শেওলা, গগুলি সব ছিল। এগুলোকে খাবার জন্য বিভিন্ন পাখি বাইরে থেকে আসতো। সেখানে যে সব পাখি, হাঁস এসেছিল তাদের মধ্যে দুটি হাঁসের সাথে হাঁদুর খুব বন্ধুত্ব হয়েছিল, তাদের নাম ছিল রামু আর শ্যামু। তারা সেখানে বেশ ভালোই ছিল, একবার সেখানে বিরাট খরা দেখাদিল, বর্ষার সময় একফোটাও বৃষ্টি হলো না।
Wednesday 18 February 2015
বুদ্ধিই বল
একদা এক মহিলা ছিল। সে একদিন তার ছেলেদের নিয়ে বাপের বাড়িতে যাচ্ছিল। তার পাপের বাড়ী
যাবার পথে গভির জঙ্গল পড়ে। আর সেই জঙ্গলে থাকে বাঘ, ভালুক, সিংহ, কত রকমের প্রানী। তারা চলছে আর চলছে। চলতে চলতে দুপুর গড়িয়ে গেল। এমন সময় একটা বাঘ হেলতে দুলতে তাদের দিকে এগিয়ে এলো।
মহিলা ভাবল এ বাঘের হাত থেকে তাদের আর রেহাই নেই। মানুষের গন্ধ পেয়েছে বাঘ, তাইতো রক্তের লোভে এগিয়ে আসছে।
যাবার পথে গভির জঙ্গল পড়ে। আর সেই জঙ্গলে থাকে বাঘ, ভালুক, সিংহ, কত রকমের প্রানী। তারা চলছে আর চলছে। চলতে চলতে দুপুর গড়িয়ে গেল। এমন সময় একটা বাঘ হেলতে দুলতে তাদের দিকে এগিয়ে এলো।
মহিলা ভাবল এ বাঘের হাত থেকে তাদের আর রেহাই নেই। মানুষের গন্ধ পেয়েছে বাঘ, তাইতো রক্তের লোভে এগিয়ে আসছে।
Tuesday 17 February 2015
শ্যামডাঙার মাঠ
বর্ধমান
সদরঘাটে দামোদর নদ পার হয়ে রায়নার দিকে যাতে হলে গোরুর গাড়িই তখন ভরসা ছিলো । এ হল
ষাট সত্তর বছর আগের কথা। একশো বছর আগে যে এখানকার পরিস্থিতি কি ছিল তা ভাবাই যায়
না। রায়নার কাছে নাড়ুগ্রামে আমাদের পৈতৃক নিবাস । ছোটোবালায় সেখানেই এক প্রবীনের
মুখে গল্পটা শুনেছিলাম। এই সমস্ত অঞ্চল ছিলো ঘন বনে জঙ্গলে ভরা । আর ছিল ভয়ঙ্কর সব
ডাকাত ও ঠাঙাড়ের উপদ্রব । দিন মানেও তখন এইসব অঞ্চলে পথ চলা ছিল ভয়ের ব্যপার।
রায়না
থানার দারোগা তখন ঘনশ্যাম ত্রিবেদি। অত্যন্ত দুঁদে দারোগা বলে তখন তাঁর নামে বাঘে
গরুতে জল খেত। তা কোন এক শীতের রাতে ঘনশ্যামবাবু তাঁর অফিস ঘরে বসে কেস ফাইলের
পাতা ওল্টাচ্ছলেন, এমন সময় একজন কনস্টেবল এসে তাঁকে সেলাম জানিয়ে ফিসফিস করে কী
যান বলল।
Monday 16 February 2015
সাপ, ইঁন্দুর ও নেউলের গল্প
একবার একটা গর্তে একটা ইঁন্দুর থাকত। একদিন একটা নেউল সেই গর্তের সামনে হাজির হলো, আর ঠিক সেই সময়েই সেখানে একটা সাপ এসে সেখানে হাজির হল। তারা দুজনেই ইঁন্দুরের সন্ধানে সেখানে এসেছিলো। কিন্তু সাপকে দেখেই নেউল আর সাপে লড়াই লেগে গেলো। তাদের আর কারোই ইঁন্দুর মারার কথা মনে রইল না। গর্তের ইঁন্দুর এদের যুদ্ধে ব্যস্ত দেখে তার গর্ত থেকে বেরিয়ে এলো! অমনি সাপ আর
Sunday 15 February 2015
Saturday 14 February 2015
অস্থি বিসর্জন
ভগীরথপুরের হাবল
চৌধরীর তখন অল্প বয়স। ব্যায়াম করা মজবুত শরীর । বড় বড় চোখ, টিকাল নাক আর পুরুষ্ঠ ঠোঁট।
কুচ কুচে চুল উল্টিয়ে আচড়াত সে। ভয় কাকে বলে জানত না সে। একটি সাইকেল ছিল তার, আর এই সাইকেলের প্যাডেলে পা দিয়ে ঘুরে বেড়াত গাঁয়ের পথে।
শখের মধ্যে ছিল নানান রকমের পায়রা পোষা,রেডিও আর কলের গান ছিল তার সঙ্গী। তার
গানের গলাটি ছিল ভারি মিষ্টি, সাইকেল চালাতে চালাতে গান গাইত সে। সে শুরের
মূর্ছলায় তার ভাইপো ভাইঝিরা আর বৌদিরা মুগ্ধ হয়ে তারিফ করত তার। সব সময় পরিস্কার
জামা কাপড় পরত সে। বিকেল বেলা হলেই তাকে দেখা যেত ধবধবে সাদা কোঁচানো ধুতি আর গিলে
করা পাঞ্জাবী পরে ছাদে উঠে পায়রার খাঁচা খুলে দিয়ে পায়রা ওড়াত।
Friday 13 February 2015
পিসিমা ও গোপাল
আমার
ঠাকুরদাদার মুখে শুনেছি যে, রাজা কৃষ্ণ চন্দ্রের এক বিধবা পিসী বড় কৃপন ছিলেন। এ
জন্য তার কাছ থেকে একটি পয়সাও আদায় করতে পারত না । তাই কথায় কথায় একদিন রাজা
কৃষ্ণচন্দ্র গোপাল ভাড়কে বলেছিল যে ‘ তুমি যদি পিসীমার পকেট হতে কিছু টাকা আদায়
করতে পার তবে তোমায় বিলক্ষন পুরস্কার দিব’। গোপাল বলল ‘তার আর কি, কালই আদায় করব’।
এই বলে গোপাল পিসীমার বাড়ি রওনা হল। পিসীমার বাড়ির
সামনে ‘পিসীমা পিসীমা’ বলে চিৎকার কারতে শুরু করল। পিসীমা নিজেই বাইরে এলে জানালেন
রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের কাছ থেকে আসছেন, তারপর নানা রকম কথা বলে শেষে বলল ‘ পিসীমা বড়
ইচ্ছা ছিল যে একদিন তোমার প্রাসাদে থেকে যাই আর তোমার প্রসাদ পাই’। একথা শুনে
পিসীমা বললেন ‘ এ আর কি কথা এখানেই আজ থেকে যাও আর আমার এখানে আমি নিজের হাতেই
খাওয়াব’
Thursday 12 February 2015
বাঘ শিকার
বড়মামার বাড়িতে যাওয়ার জন্যে আমি খুব
বায়না করতাম। শুধু আমি নই, আমার সব মাসতুতো ভাইবোনেরা তো বটেই, এমনকি আমাদের
বন্ধুরাও কেবল গল্প শুনেই বড়মামার বাড়ি যাওয়ার জন্য তাদের মা বাবাদের জালিয়ে মারত।
কেউ কেউ আবার আফসোস করে বলত, ইস, আমারও যদি ওরকম একটা মামা থাকত।
আমাদের ছিল কিন্তু গেলেই যে বড়মামার সাথে
দেখা হবে এমন কোন গ্যারেন্টি ছিল না।
Wednesday 11 February 2015
দাশুর কীর্তি
নবীনচাঁদ স্কুলে এসেই বলল, কাল তাকে ডাকাতে ধরেছিল। শুনে স্কুলশুদ্ধ সবাই হাঁ হাঁ করে ছুটে
আসল। "ডাকাতে ধরেছিল? কি বলিস রে?" ডাকাত না তো কি? বিকেলবেলায় সে জ্যোতিলালের বাড়ি পড়তে গিয়েছিল, সেখান থেকে ফিরবার সময়ে ডাকতেরা তাকে ধরে, তার মাথায় চাঁটি মেরে, তার নতুন কেনা শখের পিরানটিতে কাদাজলের পিচকিরি দিয়ে গেল। আর যাবার সময় বলে গেল, "চুপ করে দাঁড়িয়ে থাক্-নইলে দড়াম্ করে তোর মাথা উড়িয়ে দেব।" তাই সে ভয়ে আড়ষ্ট হয়ে রাস্তার ধারে প্রায় বিশ মিনিট দাঁড়িয়েছিল; এমন সময় তার বড়মামা এসে তার কান ধরে বাড়িতে নিয়ে বললেন, "রাস্তায় সং সেজে এয়ার্কি করা হচ্ছিল?" নবীনচাঁদ কাঁদ-কাঁদ গলায় বলে উঠল "আমি কি করব?
আসল। "ডাকাতে ধরেছিল? কি বলিস রে?" ডাকাত না তো কি? বিকেলবেলায় সে জ্যোতিলালের বাড়ি পড়তে গিয়েছিল, সেখান থেকে ফিরবার সময়ে ডাকতেরা তাকে ধরে, তার মাথায় চাঁটি মেরে, তার নতুন কেনা শখের পিরানটিতে কাদাজলের পিচকিরি দিয়ে গেল। আর যাবার সময় বলে গেল, "চুপ করে দাঁড়িয়ে থাক্-নইলে দড়াম্ করে তোর মাথা উড়িয়ে দেব।" তাই সে ভয়ে আড়ষ্ট হয়ে রাস্তার ধারে প্রায় বিশ মিনিট দাঁড়িয়েছিল; এমন সময় তার বড়মামা এসে তার কান ধরে বাড়িতে নিয়ে বললেন, "রাস্তায় সং সেজে এয়ার্কি করা হচ্ছিল?" নবীনচাঁদ কাঁদ-কাঁদ গলায় বলে উঠল "আমি কি করব?
Tuesday 10 February 2015
বাসে অর্ধ প্রেমের গল্প
এটা কি আপনার সিট ?
বেশ কঠিন গলায় বলল মেয়েটা ! আসলে অনেকে মনে করে সুন্দর মেয়েরা নাকি ধমক দিতে পারে না । কিন্তু আমার মনে হয় কঠিন গলায় কথা বলা টা সুন্দরীদের কাছে কোন ব্যাপার না ।
মাস খানেক আগের কথা । আমি ক্যাম্পাস থেকে বাসায় যাচ্ছি । বাসে খুব ভীড় । অনেকই দাড়িয়ে আছে । আমার ঠিক পাশেই একটা মেয়ে দাড়িয়ে ! আমি যথেষ্ট চেষ্টা করছি যেন মেয়েটার সাথে আমার কোন রকম ধাক্কা না লাগে ! কিন্তু লেগেই গেল । তবে আমার সাথে না । মেয়েটির সামনে দাড়ানো একটা ছেলের সাথে !
আর যায় কোথায় !
এমন কিছু কথা শোনালো আমি একেবারে চুপ করে শুনতে লাগলাম আর মেয়েরার চেহারার দিকে তাকাতে লাগলাম । মেয়েটার চেহেরাটা কেমন
বেশ কঠিন গলায় বলল মেয়েটা ! আসলে অনেকে মনে করে সুন্দর মেয়েরা নাকি ধমক দিতে পারে না । কিন্তু আমার মনে হয় কঠিন গলায় কথা বলা টা সুন্দরীদের কাছে কোন ব্যাপার না ।
মাস খানেক আগের কথা । আমি ক্যাম্পাস থেকে বাসায় যাচ্ছি । বাসে খুব ভীড় । অনেকই দাড়িয়ে আছে । আমার ঠিক পাশেই একটা মেয়ে দাড়িয়ে ! আমি যথেষ্ট চেষ্টা করছি যেন মেয়েটার সাথে আমার কোন রকম ধাক্কা না লাগে ! কিন্তু লেগেই গেল । তবে আমার সাথে না । মেয়েটির সামনে দাড়ানো একটা ছেলের সাথে !
আর যায় কোথায় !
এমন কিছু কথা শোনালো আমি একেবারে চুপ করে শুনতে লাগলাম আর মেয়েরার চেহারার দিকে তাকাতে লাগলাম । মেয়েটার চেহেরাটা কেমন
Monday 9 February 2015
বিশ্বাসঘাতক নেকড়ে
একদা এক গ্রামে এক চাষী ছিল। তার নাম ছিল
পাঁচু। পাঁচু ছিল বড়ই দয়ালু ছিল। কারো দুঃখ সে সহ্য করতে পারত না । কেউ বিপদে
পড়লে, অমনি সে বাঁচাতে ছুটে যেত।
একদিন হয়েছে কি পাঁচু যখন ক্ষেতে বড় বস্তা নিয়ে
আলু তুলতে যাচ্ছিল তখন সে হটাৎ দেখতে পেল পাশের বন থেকে একটা নেকড়ে ছুটতে ছুটতে
তার পায়ে এসে পড়ল। অনেক কাকুতি মিনতি করে সে বলল - আমাকে বাঁচাও পাঁচুভাই, তিনটি শিকারী আমার পিছু নিয়েছে।
দয়ালু পাঁচু বললে - তাই তো কিন্তু তোমাকে
বাঁচাই কি করে বলো তো?
নেকড়ে বললে – তোমার ঐ বস্তাটায় আমায় পুরে ওর
মুখ বন্ধ করে দাও ।
Sunday 8 February 2015
Saturday 7 February 2015
আসম বন্ধুত্ব
এক শেয়াল আর এক কুমিরের খুবই বন্ধুত্ব
ছিল। শেয়াল ছিল খুবই চালাক আর কুমির ছিল বোকার হদ্দ। এইনিয়ে নানা লোকে নানা কথা
বলত , কুমিরের
মনে রাগ হল সে ভাবল একবার আমি শেয়ালকে ঠকিয়ে দেখিয়ে দেব সাবাইকে আমি কিছু কম চালাক
নই।
কুমির চালাকি করার জন্য একদিন শেয়ালকে বলল "বন্ধু শেয়াল চলভাই
আমরা চাষ করি।"
শেয়াল রাজি হয়ে বলল চলল- " চাষ করবি ঠিক আছে, কিন্তু ভাই আমরা
সমান সমান ভাগ করে নেব।"
কুমির বলল "আমি উপরের টা নেব আর তুই নিচেরটা নিবি।"
শেয়াল বলল "তা কি করে হয় যা হবে সমান সমান নেব উপর নিচ সমান
সমান "
কুমির বলল " না আমি উপরের টা নেব তুই নিচের টা নিবি, তুই চিন্তা করিস
না
Friday 6 February 2015
নেপোই মারে দই
একবার একটা হরিনকে দখল নিয়ে একটা ভালুক ও এক সিংহের মধ্যে লড়াই বাঁধে। লড়াই করতে করতে দু জনেই জখম হয়ে পড়ল এমনকি তাদের নড়বার শক্তি পর্যন্ত রইল না, মৃতপ্রায় হয়ে তারা সেখানেই পড়ে রইল।
Tuesday 3 February 2015
লোডশেডিং ও একটি ভূতের গল্প
প্রায় একমাস ছুটি কাটিয়ে কলেজে পৌঁছাবার পর রাতেরবেলা আমাদের গল্প যেন আর ফুরাতেই চাইতোনা ! একেজনের পেটে কত কথা ! কার চুল কতো সে . মি বড় হলো এই ব্যপারে নিরীক্ষামূলক প্রতিবেদন উপস্থাপন থেকে শুরু করে ছুটিতে টিভিতে দেখে আসা বিজ্ঞাপনের মডেলদের অঙ্গভঙ্গি অনুকরণ- নানারকম আলোচনায় গভীর রাত পর্যন্ত ব্যস্ত থাকি আমরা। সেবারও ব্যতিক্রম হয়নি , ব্যাগ থেকে জিনিসপত্র বের করে লকারে গুছিয়ে রাখতে রাখতে অনর্গল বকে যাচ্ছি। তখনই মৌসুমি ব্যাগ থেকে একটা কি যেন ক্রিমের টিউব বের করে আমাদের সবাইকে দেখিয়ে সেটার গুণকীর্তন করতে লাগলো , এইটা মাখলে নাকি
Monday 2 February 2015
এই ঘটনাটা কুষ্টিয়ায় ঘটেছিল ৮০র দশকে
এই ঘটনাটা কুষ্টিয়ায় ঘটেছিল ৮০র দশকে ।
ঘটনাটা যার সাথে ঘটেছিল এটা তার মুখ থেকে শোনা । আমাদের ওখানে ১জন ভ্যান চালক ছিল, খুব সাস্থ্যবান আর সাহসী । ১দিন সে তার ফুফুর বাসায় বেড়াতে যায়, সেখান থেকে সে যখন চলে আসবে তখন প্রায় সন্ধ্যা, তার ফুফু বলল যে পিঠা বানাচ্ছে, খেয়ে যেতে । সে বলল দিয়ে দিতে, খেতে খেতে যাবে । গ্রামে কিছু কমন সংস্কার আছে, তেলে ভাজা কিছু বা মাছ এগুলো নিয়ে রাতে যাতায়াত করলে খারাপ কিছুর নজর পরে ।
তাই তার ফুফু বললেন যে নিয়ে যাওয়ার দরকার নেই, খেয়ে যেতে ।
ঘটনাটা যার সাথে ঘটেছিল এটা তার মুখ থেকে শোনা । আমাদের ওখানে ১জন ভ্যান চালক ছিল, খুব সাস্থ্যবান আর সাহসী । ১দিন সে তার ফুফুর বাসায় বেড়াতে যায়, সেখান থেকে সে যখন চলে আসবে তখন প্রায় সন্ধ্যা, তার ফুফু বলল যে পিঠা বানাচ্ছে, খেয়ে যেতে । সে বলল দিয়ে দিতে, খেতে খেতে যাবে । গ্রামে কিছু কমন সংস্কার আছে, তেলে ভাজা কিছু বা মাছ এগুলো নিয়ে রাতে যাতায়াত করলে খারাপ কিছুর নজর পরে ।
তাই তার ফুফু বললেন যে নিয়ে যাওয়ার দরকার নেই, খেয়ে যেতে ।
Sunday 1 February 2015
ওই বাড়িটায় সমস্যা আছে
আমাদের নানুবাড়ী হবিগঞ্জের একটি গ্রাম মোশাজান । একটা বাড়ি আছে আধা পাকা বাড়ি । গ্রামের সবার মতে ওই বাড়িটায় সমস্যা আছে । দিনের বেলায় গেলে গা ছমছম করে । ওই বাড়ির উঠানে গেলেই চারদিকের পরিবেশ অনেক নিরব হয়ে যায়... বাড়িটার বিবরণ দেই, দুইটা বাড়ি পাশাপাশি, সামনে উঠান, বাড়িটার পিছনদিকে একটা পুকুর এবং পুকুর ঘিরে ঝোপঝাড় ।
এই বাড়িতে একজন খুব ধার্মিক মানুষ থাকতেন উনার স্ত্রীসহ । উনাদের ছেলে মেয়ে শহরে থাকত । উনি মারা যাওয়ার পর ওদের বাড়িতে একটা বিরাট বড় সাপ দেখা যেত । সাপটা কারো ক্ষতি করত
এই বাড়িতে একজন খুব ধার্মিক মানুষ থাকতেন উনার স্ত্রীসহ । উনাদের ছেলে মেয়ে শহরে থাকত । উনি মারা যাওয়ার পর ওদের বাড়িতে একটা বিরাট বড় সাপ দেখা যেত । সাপটা কারো ক্ষতি করত
Subscribe to:
Posts (Atom)