Saturday 24 May 2014

সূর্যালোক (ভৌতিক কাহিনি)


এই গল্পটি একটি ভূতের গল্প ( Bhooter golp / Bengali ghost story ). গল্পটি ইন্টারনেট থেকে সংগ্রীহিত , এর লেখিকা  = রোদঁশী ।


"সূর্যের আলো আমি একদম পছন্দ করি না,তুমি প্লিজ জানলাগুলো কালো পর্দা দিয়ে ঢেকে দাও।"

শিলার কথা শুনে অবাক হয়ে যায় শুভ্র।শিলা তো আগে এমন ছিলো না।হঠাৎ যে ওর কি হলো আর ভেবে পায় না শুভ্র।
যত দোষ ঐ গ্রামের বাড়ির।ঐখানে বেড়াতে যেয়েই যত ঝামেলা হলো।
প্রথমে তো শুভ্র যেতেই চায়নি পরে শিলার চাপাচাপিতে যেতে রাজি হলো।ওদের বাড়ির পুকুর দেখে শিলার সেকি উচ্ছাস।একদম বাচ্চাদের মত লাফালাফি করছিলো শিলা।

Friday 23 May 2014

অবতার ভোজন করছি


শেখ আমীরশাহ খুব বিচক্ষণ জ্ঞানী মৌলবী ছিলেন। মুসলিম শাস্ত্র ছাড়াও হিন্দুশাস্ত্রেও তাঁর বেশ দখল ছিল। তারই জোরে গোপালকে তিনি অনেক সময়ে ঠকাবার চেষ্টা করেন। অবশ্য তার ফলে নিজেই বরাবর জব্দ হতেন । কিন্তু তাতে লজ্জা নেই তাঁর। বার বার গোপালকে ঠকাবার চেষ্টা করেও বুদ্ধিমান গোপালকে কোনমতেই ঠকানো যায় না বরং শেখ আমীরশাহই বারবার ঠকেন।

একদিন গোপান ভিন গাঁয়ে এক বন্ধুর বাড়িতে গেছেন। শেখ আমীরশাহও সেই বন্ধুর বাড়িতে সেইদিন নিমন্ত্রিত। গোপাল গিয়ে বন্ধুর বাড়িতে পৌঁছে দেখেন শেখ আমিরশাহ ভোজনে বসেছেন, তিনি সে সময় মাছ খাচ্চিলেন । গোপাল জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কী খাচ্ছেন মৌলবী সাহেব?’

Monday 19 May 2014

৫লাখ টাকা... একটা প্রেমের দাম

বসে আছি নীলার উকিলের রুমে। নীলার উকিল নুরুল ইসলাম ডিভোর্সের জন্য শহরের সবচাইতে নামকরা উকিল। সবাই বলে যে, বিয়ের পর নুরুল উকিলের মুখ দেখতে নাই।নুরুল উকিলের মুখ দেখলে নাকি রোমিও-জুলিয়েটের বিয়েতেও ডিভোর্স হয়ে যায়। আমাদের বিয়েটা রোঁমিও-জুলিয়েটের মতো প্রেম করেই হয় কিন্তু শেক্সপিয়র কেনো রোঁমিও-জুলিয়েটের বিয়ে দেননি সেটা বুঝতে বেশিদিন লাগেনি। নীলার সাথে পরিচয় এক বন্ধুর মাধ্যমে। আমি তখন অনার্স পরীক্ষা দিয়ে বাসায় বসা। নীলা তখন মাত্র ইন্টার পরীক্ষা দিবে। ইংলিশে দূর্বল ছিলো তাই এক বন্ধু নীলাকে প্রাইভেট পড়াতে বলে। পড়াতে পড়াতে

এর পর তোমার পালা

ছোটবেলা গোপাল ভাঁড় কোনো বিয়ের অনুষ্ঠানে গেলে বুড়োরা তাকে ক্ষেপাত আর হাসত, ‘গোপাল, এর পর তোমার পালা।’ শুনে গোপালের খুব রাগ হত। বুড়োদের কিভাবে জব্দ করা যায়, সেই পথ খুঁজতে লাগল এবং এক সময় পেয়ে গেল।

ছায়াসঙ্গী ( Bhooter golp )

এই গল্পটি হুমায়ূন আহমেদ এর লেখা একটি ভূতের গল্প ( Bhooter Golp )

প্রতি বছর শীতের ছুটির সময় ভাবি কিছুদিন গ্রামে কাটিয়ে আসব। দলবল নিয়ে যাব- হৈচৈ করা যাবে। আমার বাচ্চারা কখনও গ্রাম দেখেনি- তারা খুশি হবে। পুকুরে ঝাঁপাঝাঁপি করতে পারবে। শাপলা ফুল শুধু যে মতিঝিলের সামনেই ফোটে না, অন্যান্য জায়গাতেও ফোটে তাও স্বচক্ষে দেখবে।
আমার বেশির ভাগ পরিকল্পনাই শেষ পর্যন্ত কাজে লাগাতে পারি না। এটা কেমন করে জানি লেগে গেল। একদিন সত্যি সত্যি রওনা হলাম।
আমাদের গ্রামটাকে অজ পাড়াগাঁ বললেও সম্মান দেখানো হয়। যোগাযোগ-ব্যবস্থার এমন সুন্দর সময়েও সেখানে পৌঁছাতে হয় গরুর গাড়িতে। বর্ষার সময় নৌকা, তবে মাঝখানে একটা হাওর পড়ে বলে সেই যাত্রা অগস্ত্যযাত্রার মতো।

Saturday 17 May 2014

পুরস্কারের বখরা

একবার মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র, সভাসদ ও আত্মীয়-স্বজন পরিবার বর্গ নিয়ে তাঁর বাগানবাড়িতে আনন্দ-ভোজের বন্দোবস্ত করেছিলেন। মহারাজের ইচ্ছায় সেখানে আজ সারাদিন আমোদ-প্রমোদ হবে। রাজা সকলকে নিয়ে খুব সকালেই যাত্রা করলেন। গোপালকেও সঙ্গে আসতে বলছিলেন, গোপাল বৌ-এর মুখের জন্য বাজার ক’রে না দিয়ে যেতে পারে না। যেদিন বাজার না করে দিয়ে যায়, সেদিন বাড়িতে খুব ওশান্তি হয়। একথা সোজাসুজি না বলে মজা করার জন্যে মহারাজকে বলল, ‘আমার একটু ইয়ে… কোন ব্যাপার নয়, আমি একটু পরে আসছি মহারাজ! আপনারা সব আগে যান। আমি পৌঁছাব সামান্য বিলম্বে। আমার জন্য আপনাদের চিন্তা-ভাবনা করতে হবে না।’ গোপাল সঙ্গে এলো না, এতে রাজা মনে মনে খুব রেগে

গোপাল ভাড় ও পাওনাদার

একবার গোপাল পাড়ার এক দোকান থেকে বাকি খেয়েছে। অনেক দিন হয়ে গেল দেনা সে শোধ করছে না। তখন মুদি রেগে মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের কাছে আরজি জানাল। পাঁচ টাকা দেনা ছিল সাত টাকার দাবিতা মুদি মহারাজের কাছে নালিশ করল। গোপাল রাজার তলব পেয়ে রাজসভায় গিয়ে বলল ‘সাত টাকা নয় হুজুর, পাঁচ টাকা দেনা, আমি ক্রমে আস্তে-আস্তে শোধ করব। আমায় দয়া করে কিস্তি-বন্দী করার হুকুম দিন।’ মহারাজের তাতে আপত্তি ছিল না। কিন্তু গোল বাধলো দেনার পরিমাণ নিয়ে। পাওনাদার বলে, সাত টাকা; দেনাদার বলে পাঁচ টাকা। অবশেষে মুদির খাতা তলব করা হলো। দেখা গেল- খাতা অনুসারে সাত টাকাই দেনা দাঁড়ায় বটে! গোপাল খাতার ভেতর লেখা ভালভাবে দেখে বলল ‘হুজুর! এই যে দেখুন, কত বড় জোচ্চুরি। যে-কদিন অড়র ডাল নিয়েছি, সেই কদিনই মুদি আমার নামে ঘি-ও লিখে রেখেছে। অথচ

Tuesday 13 May 2014

ধনরত্ন পুরস্কার

গোপাল ভাঁড়ের এই গল্পটা আপনারা জানেন। রাজা বললেন, শীতের রাতে কেউ কি সারা রাত এই পুকুরে গলাপানিতে ডুবে থাকতে পারবে? যদি কেউ পারে, আমি তাকে অনেক টাকাপয়সা, ধনরত্ন পুরস্কার দেব। এক ছিল গরিব দুঃখী মানুষ। সে বলল, আমি পারব। সে মাঘ মাসের তীব্র শীতে সারা রাত পুকুরের পানিতে গলা ডুবিয়ে দাঁড়িয়ে রইল। ভোরের বেলা সে উঠল পানি থেকে। রাজার কাছে গিয়ে সে বলল,

রাজবৈদ্য নিয়োগ

রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের দরবারে রাজবৈদ্য নিয়োগ দেওয়া হবে। দেশদেশান্তর থেকে চিকিত্সকেরা এলেন যোগ দিতে। গোপালকে রাজা দায়িত্ব দিলেন চিকিত্সক নির্বাচনের। গোপাল খুশিমনে বসলেন তাঁদের মেধা পরীক্ষায়। —আপনার চিকিত্সালয়ের আশপাশে ভূতের উপদ্রব আছে? —জি আছে। প্রচুর ভূত। ওদের অত্যাচারে ঠিকমতো চিকিত্সা পর্যন্ত করতে পারি না। দিন দিন ওদের সংখ্যা বাড়ছেই। এবার দ্বিতীয়

Sunday 4 May 2014

বলদের মতো চারটা পা

গোপালের তখন বয়স হয়েছে। চোখে ভালো দেখতে পারে না। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র বললেন, কী গোপাল, গতকাল আসনি কেন? —আজ্ঞে চোখে সমস্যা হয়েছে। সবকিছু দুটো দেখি। কাল এসেছিলাম। এসে দেখি দুটো দরবার। কোনটায় ঢুকব, ভাবতে ভাবতেই…। —এ তো তোমার জন্য ভালোই হলো। তুমি বড়লোক হয়ে গেলে। আগে দেখতে তোমার একটা বলদ, এখন দেখবে দুটো বলদ। —ঠিকই বলেছেন মহারাজ। আগে দেখতাম আপনার দুটো পা, এখন দেখছি চারটা পা…ঠিক আমার বলদের মতোই! 

Thursday 1 May 2014

একটি মিষ্টি প্রেমের গল্প : শ্রেষ্টাংশে এক রাখাল বালক আর এক রাজকন্যা

১.
এক দেশে ছিল এক রাখাল বালক। ছাগল চড়াইতে তাহার জুড়ি ছিল না। সেই দেশে ঘাসের আবার বড় আকাল। তালগাছ ছাড়া আর কোনো উদ্ভিদ কদাচিৎ চোখে পড়িত না। তাই রাখাল বালককে ছাগলের পাল নিয়ে হেথা সেথা ঘুরিয়া বেড়াইতে হইত।

একদিন ঘুরিতে ঘুরিতে রাখাল বালক রাজপ্রাসাদের নিকট আসিয়া পড়িল। রাজপ্রাসাদে বাস করিত এক সুন্দরী রাজকন্যা। রাজকন্যারও ছাগলপ্রীতি ছিল। কিন্তু এক সাথে রাখাল বালকের এত ছাগল দেখিয়া রাজকন্যা অভিভূত হইয়া পড়িল। রাখল বালক রাজপ্রাসাদের চারপাশ দিয়া হেলিয়া দুলিয়া ছাগল চড়াইতে লাগিল। ছাগল চড়াইতে রাখাল বালকের পটুত্ব দেখিয়া রাজকন্যা ছাগলের থুক্কু রাখাল বালকের প্রেমে পড়িয়া হাবুডুবু খাইতে লাগিল।