Monday 19 May 2014

৫লাখ টাকা... একটা প্রেমের দাম

বসে আছি নীলার উকিলের রুমে। নীলার উকিল নুরুল ইসলাম ডিভোর্সের জন্য শহরের সবচাইতে নামকরা উকিল। সবাই বলে যে, বিয়ের পর নুরুল উকিলের মুখ দেখতে নাই।নুরুল উকিলের মুখ দেখলে নাকি রোমিও-জুলিয়েটের বিয়েতেও ডিভোর্স হয়ে যায়। আমাদের বিয়েটা রোঁমিও-জুলিয়েটের মতো প্রেম করেই হয় কিন্তু শেক্সপিয়র কেনো রোঁমিও-জুলিয়েটের বিয়ে দেননি সেটা বুঝতে বেশিদিন লাগেনি। নীলার সাথে পরিচয় এক বন্ধুর মাধ্যমে। আমি তখন অনার্স পরীক্ষা দিয়ে বাসায় বসা। নীলা তখন মাত্র ইন্টার পরীক্ষা দিবে। ইংলিশে দূর্বল ছিলো তাই এক বন্ধু নীলাকে প্রাইভেট পড়াতে বলে। পড়াতে পড়াতে
প্রেম,তারপর পরীক্ষা শেষ করেই বাড়ি ছেড়ে পালানো। পৃথিবীটা তখন ছিলো হিন্দী সিনেমার সেটের মতো। আমি যাই বলি তাতেই নীলা খিলখিল করে হেসে উঠত তখন।নীলা হাত পা নাড়িয়ে, চোখের পাতা না ফেলে অনর্গল কথা বলে যেতো......অনর্গল কথা বলে যেতো...... সেই কথা আমার কানে যেনো দূর থেকে ভেসে আসা সাগরের ঢেওয়ের মতো আছড়ে পরত। এক ঘন্টা যদি নীলার কথা না শুনতে পেতাম তাহলে ছটফট করা শুরু হয়ে যেতো বুকের ভেতর। এই মেয়েটিকে ছাড়া বাঁচতে পারব এই কথা যদি গ্যালোটিনে মাথা রেখেও কেউ স্বীকার করতে বলত তাহলেও হয়ত আমি “না” করে দিতাম। এর মাঝেই নীলা একদিন বলে “চলো বিয়ে করে ফেলি”। আমার তখন চাকরি বাকরি কিছু নেই, বাবার হোটেলে খাই, বিয়ে কিভাবে করি? কিন্তু নীলার এক গোঁ।সে বিয়ে করবেই।তার বাবানাকি আমেরিকার কোন ছেলের সাথে তার পরিচয় করিয়ে দিয়েছে।তার ভয় ঐ ছেলের সাথে তার বিয়ে দিয়ে দিবে।তাই সে বিয়ে করবেই-ই করবে।যদিও আমি পরিবারের একমাত্র ছেলে কিন্তু তারপরও পরিবারের হাল খুব একটা স্বচ্ছল না। আব্বার এই বছর রিটায়ের্ড করছে ,শহরে কোনো বাড়ি নেই,গ্রামে কিছু জমি ছিলো কিন্তু বেশিরভাগই চাচাদের ‘গ্রাম্য রাজনীতি’র শিকার হয়ে এখন বেদখল। খাওয়া পরা নিয়ে চিন্তা নেই কিন্তু তাই বলে বিয়ে?! বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম অনেক নীলাকে কিন্তু শেষমেশ দিব্যি,টিব্যি দিয়ে এমন এক অবস্থা তৈরি করল যে আর সম্ভব ছিলোনা বিয়ের হাত থেকে বাঁচার । বাড়িতে বলার সাহস করা সম্ভব না। অগত্যা পালালাম বাড়ি ছেড়ে। অনেক কাহিনী টাহিনীর পরে দুই পক্ষই মেনে নেয় কিন্তু আসলে সেই মেনেই নেয়াটা ছিলো পরিস্থিতী সামলানোর একটি ছল মাত্র। নীলার বাবা-মা আর ভাইরা সবসময়ই নীলাকে আমাকে ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দিতো। এদিকে আমি চাকরি করিনা তাই পারিবারীক রাজনীতিতে আব্বা-আম্মার স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্বে ভাগ বসানোটা আমার পক্ষে সম্ভব ছিলোনা। নীলা বলত, আমার হাত যদি তার হাতে থাকে তাহলে দোযকের আগুনকেও নিজের বাসার এসি রুম মনে করে হাসি মুখে কাটিয়ে দিবে । সেই দোযকের দরজা দেখেই অবশ্য তার আর আমার হাতের কথা মনে ছিলোনা। বাসায় পান থেকে চুন খসলেই আম্মুর “বড়লোকের বেটি” বলে খোঁটা, আব্বুর “ বাসায় দেখি কিছুই শিখে আসোনি” টাইপ ডায়লগ হজম করার মতো মোটা চামড়া তার ছিলোনা। নির্ঘুম কামোতসবে কাটিয়ে দেয়া উন্মাদ রাতগুলো কিছুদিনের মাঝেই তাই ‘নালিশ কেন্দ্রের’ রুপ নেয়।আমি নীলাকে বোঝাতাম, “কিছুদিন অপেক্ষা করো সোনা আমার। একটা চাকরি হয়ে যাক তাহলে আমি তোমাকে নিয়ে ঢাকা চলে যাব...তারপর শুধু তুমি আর আমি!” প্রথম দিকে এই কথায় কাজ হত। মিষ্টি করে হেসে আমার দুই বাহুর মাঝে নিজের অস্তিত্ব-বিশ্বাস সব ঢেলে দিতো। কিন্তু এই “কিছুদিন তত্ত্ব” বেশিদিন টিকলোনা। বিয়ের ছ’মাস পরেই রাতগুলো হয়ে উঠে অসহ্য! তার সাথে নীলার বাপ ভাইদের উৎপাত। একদিন টিভি দেখা নিয়ে আম্মুর সাথে তর্ক রুপ নেয় ঝগড়া তে আর সেই ঝগড়াই যুদ্ধের আকার ধারন করে যখন আব্বাও আম্মার সাথে ‘শব্দবোমা’ বর্ষন শুরু করে এবং আমি হ্যবলাকান্তের মতো তাকিয়ে তাকিয়ে দেখি। ভালোবাসা বিদ্রোহী করতে পারে হয়ত কিন্তু অন্নের যোগানদাতার উপর কথা বলার সাহস যোগাতে পারেনা; চাই কি সেই যোগানদাতা নিজের আপন বাবাই হওক না কেনো, এই কথাটা সেইদিন বুঝলাম। বিছানায় পুরুষত্বের গর্বে গর্বিত জামাই যখন নপুংশকের মতো দাঁড়িয়ে স্ত্রীর অপমান দেখে তখন সেটা হজম করা আসলেই হয়ত অসম্ভব। মেয়েরা সবচাইতে বেশি চায় নির্ভরতা। সেইদিন আমি নীলার নির্ভর করার বিশ্বাসে আঘাত দেই। নীলা চলে গেলো...



“আমি চাকরি পেয়েছি নীলা”

“শুনেছি,বেতন কত?”

“১০হাজার,সব ভুলে যাও না নীলা প্লিজ। চল আমরা আবার নতুন করে সব শুরু করি।”

“কাপুরুষ মানে জানো?”

“প্লিজ নীলা সব ভুলে যাও।”

“আমার এই জামাটার দাম জানো? এই জামাটার দাম ১২ হাজার টাকা। ১০ হাজার টাকা বেতন পাওয়া একজন 'কাপুরুষ' ছেলেকে দ্বিতীয়বার সুযোগ দেয়াটা ঠিক হবে বলে তুমি মনে করো?”

"তাহলে আগে যে বলতে, আমার জন্য তুমি সব ছাড়তে পারবে।"

"ছেড়েছিলাম আরিফ। আর তখন বয়সও কম ছিলো আমার। আমি না হয় না বুঝে বিয়ের জন্য চাপ দিয়েছি কিন্তু তুমি ত বুঝতে। ঐভাবে তুমি কেনো বিয়েতে রাজী হলে? তোমার বাস্তব বুদ্ধি যদি ইন্টার পাস মেয়ের সমান হয় তাহলে এমন বুদ্ধিমানের সাথে ঘর করার রিস্ক আমি নিতে পারবোনা আরিফ।"

"ভালোবাসাকে বুদ্ধি দিয়ে পরখ করা হয়ে উঠেনি নীলা"

"ভালোবাসা-বিয়ে-সংসার বাইরের পৃথিবীর জিনিস না আরিফ।বাঁচার জন্য ভালোবাসতে হয় ,ভালোবাসার জন্য বাঁচতে হয় না। তোমার ঐ রাবিন্দ্রীক ভালোবাসার ফল ত দেখতেই পাচ্ছ , এখন আমরা উকিলের রুমে বসে আছি ।

বুকে শেলের মতো বিধল নীলার কথাগুলো। জবাব দেয়ার চেষ্টা করছিলাম কি না জানিনা কিন্তু নীলার সেই ভাবলেশহীন চোখে আমার জন্য আর কোনো প্রেমের অস্তিত্ব দেখতে পেলাম না। তাই চুপ থাকাই ঠিক মনে হলো।

“আরে আরিফ ভাই এসেছেন? আপনাকে ফোন দিতে চাচ্ছিলাম এখনই” রুমে ঢুকলেন নীলার উকিল বিখ্যাত নুরুল ইসলাম।
“এইত কিছুক্ষন হলো এসেছি”
“ও , এইদিকে আপনার মিসেস আপনার পথচেয়ে বসে আছেন অনেকক্ষন ধরে।” রসিকতা করে আনন্দ পান নুরুল ইসলাম। “ আমার মিসেস ফোন দেয়াতে আপনার মিসেসকে একা রেখে চলে যেতে হলো। সারাদিন মানুষের ডিভোর্স করাই দেখে আমার মিসেসের ইদানিং সন্দেহ বাতিক হয়েছে। ঘন্টায় ঘন্টায় ফোন দিয়ে তিনি আমার বর্তমান স্ট্যাটাস চেক করেন। বলেছি ফেসবুকে গিয়ে স্ট্যাটাস দেখতে কিন্তু তিনি সরাসরিই দেখবেন...হা হা হা ” সামনে কেউ নিম্নমানের রসিকতা করে হাসলেও ভদ্রতার খাতিরে সেই হাসিতে যোগ দেয়া উচিৎ কিন্তু ঠিক এই মুহুর্তে ভদ্রতা দেখানোর মতো অবস্থা ছিলোনা আমার। নুরুল ইসলাম হেসেই চললেন। খুন হওয়া সংসার, মরে যাওয়া প্রেমের শবের উপর দাঁড়িয়ে হেসে উঠা এই লোকের অনেক পুরাতন অভ্যাস। তার কাছে আমাদের অংশগ্রহন মূল্যহীন।“কাজের কথায় আসি, আপনাদের কেস একদম ক্লিয়ার। আপনি এবং আপনার পিতামাতা নীলাকে প্রচন্ড অত্যাচার করতেন,সারাদিন কাজ করাতেন এবং আপনি নাকি নীলা ম্যাডামকে মারধরও করেছেন কয়েকবার।মুসলিম পারিবারীক আইন অনুযায়ী স্বামী যদি স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে থাকেন তাহলে স্ত্রী তালাকের দাবি জানাতে পারেন। এছাড়া স্ত্রীর অমতে তার সম্পত্তি হস্তান্তর করলে কিংবা স্ত্রীকে তার সম্পত্তির ওপর বৈধ অধিকার প্রয়োগে বাধা দিলেও তালাকের দাবি করা যেতে পারে। আপনি এই দুটোই করেছেন,আপনার স্ত্রীর গহনা আপনি তার অমতে নিয়ে গিয়েছেন।”বলে কি এই লোক? সাথে সাথে প্রতিবাদ জানালাম, ,"আমি কখন তোমার গহনাতে হাত দিলাম?, আমি কবে তোমাকে মারলাম?” নীলার দিকে তাকিয়ে প্রশ্নটি করেছিলাম কিন্তু উত্তর দিলেন নুরুল ইসলাম, “ দেখেন এখানে আপনি আমার ক্লায়েন্টকে কিছু জিজ্ঞাস করতে পারবেন না। আপনার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো আমি বলে যাচ্ছি। আপনার কোনো অবজেকশন থাকলে কোর্টে কথা বলবেন।” নীলার স্থির হয়ে বসে থাকাটাই অবশ্য বলে দিলো আমার কথার আর কোনো গুরুত্ব নেই। আনীত অভিযোগগুলো এই নুরুল ইসলামেরই মস্তিষ্ক প্রসূত। “আমরা আজকে আদালতে ডিক্রির আবেদন জানাবো। এরপর ডিক্রির সত্যায়িত কপি চ্যায়ারমেন সাহেবের কাছে গেলে ৯০ দিনের মাঝে আপনাদের তালাক কার্যকর হবে। আপনার কিছু বলার আছে আর আরিফ সাহেব?” বলে গেলেন নুরুল ইসলাম। কিছুক্ষন আগে রসিকতা করা লোকটি কি অবলীলায় আমার জীবনের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ন ডিসিশনটি নিয়ে আমাকে জানিয়ে দিচ্ছে। হাত পা অবশ হয়ে আসছে। “ না,কিছু বলার নাই” বলে বের হয়ে যাব এমন সময় নুরুল ইসলাম আমাকে বসতে বললেন আবার। “আপনাদের বিয়ের দেনমোহর ছিলো ৫লাখ টাকা কিন্তু নীলা ম্যাডামের দাবিমতে আপনি তা শোধ করেন নি, এখন সেটার ব্যাপারে কথা বলেন, না হলে তার জন্যেও আমাদেরকে আদালতকে জানাতে হবে।”

দেনমোহরের কথা ত মনেই নাই আমার। বিয়ের সময় নীলা হেসে হেসে বলেছিলো,দেনমোহর দিয়ে আমি কি করব? তোমার সবই ত আমার,তাই না?” আমিও হেসে তার কথার সাথে সায় জানিয়েছিলাম। কিন্তু পরে পারিবারীকভাবে একটি দেনমোহর ঠিক করা হয়। ৫লাখ টাকা।এই মুহুর্তে ত আমার পক্ষে ঐ টাকা দেয়া সম্ভব না, আর নীলাকে আমার বাবা-মা কিছু গহনা দিয়েছিলো , নীলা তখন বলেছিলো যে তার দেনমোহর লাগবেনা। এই গহনাই তার দেনমোহর। এখন অবশ্য এই কথা আর তুলে লাভ হবে মনে হচ্ছেনা। এক হাত দূরের চেয়ারে বসে থাকা এই নীলাকে সে চিনেনা। এই নীলার ভীতর আরিফ নামক কারো জন্য কোনো ভালোবাসা নাই,করুনা নাই...আছে শুধু একদলা ঘৃণা। “আরিফ সাহেব, আপনি যদি দেনমোহরের ব্যাপারটা ফয়সলা না করেন তাহলে তার জন্যেও আমরা কেস করতে পারি।আপনি বেটার হয় এই টাকাটা কবে নাগাদ দিবেন সেইটা আমদের জানিয়ে দিন।” “আচ্ছা জানাচ্ছি কিছুদিনের মাঝে” বলে রুম থেকে বের হলাম। চারপাশে কত মানুষ,সবাই দৌড়াচ্ছে উকিলের পিছনে ,কেউ কেউ কোর্টরুমের দিকে ...মানুষের কত সমস্যা। মানুষ কখন কোর্টে আসে, কাছের সম্পর্কগুলো কত দূরে গেলে পরে বাইরের একজনকে মাঝখানে দাঁড়িয়ে সম্পর্কের দাবি দাওয়া ভাগ বটোয়ারা করে দিতে হয়? আগে প্রায়ই ভাবতাম এই কোর্টের পাশ দিয়া যাওয়ার সময়। আজ আমার নিজের সম্পর্কই কোর্টের বারান্দায় ছাড়পত্রের দাবি নিয়ে এসেছে। “ আরিফ সাহেব,আরিফ সাহেব” পিছন থেকে ডাকছেন নুরুল ইসলাম। আরো কিছু বাকি আছে নাকি?পিছন ফিরে দাঁড়ালাম। কাছে এসে খুব প্রিয়জন যেভাবে কানের কাছে মুখ নিয়ে ‘ভালবাসি’ বলে সেভাবে কানের কাছে মুখ নিয়ে বলে গেলেন নুরুল ইসলাম, “নীলা ম্যাডামের সার্টিফিকেট বয়স কিন্তু আপনাদের বিয়ের আগে ১৮ হয়নি। চাইলে সেই গ্রাউন্ডে আপনার বিরুদ্ধে ‘ধর্ষন মামলা’ও করা যেতে পারে,নারী নির্যাতনের মামলা করা ত ওয়ান-টুর মামলা। আপনি জানেন ত , নারী আর শিশু নির্যাতন মামলাতে কোনো জামিন হয় না আর কোর্ট এখানে পুরুষের কথাকে তেমন গুরুত্বও দেয় না।” এই কথাগুলোর অর্থ কি বুঝে উঠলাম না। “ আপনি যদি ঐ কেসের হাত থেকে বাঁচতে চান তাহলে আজকে বিকালে আমার বাসায় আইসেন আর দেনমোহরের টাকার কথা ভুলবেন না, নীলা ম্যাডাম যদি কেস করে দেয় তাহলে কিন্তু জেলও খাটবেন,টাকাও দিবেন” বালিঝড়ের মতো একগাদা বালি সারাগায়ে মাখিয়ে চলে গেলেন নুরুল ইসলাম। বিকালে বাসায় ডাকার মানে কি? টাকা চায়? আমি কোন জায়গা থেকে টাকা দেব? আব্বার কাছে ক্যাশ টাকা নাই আমি জানি। আম্মার কাছে আছে? নাহ, কিভাবে আসবে? এখন দেনমোহরের ৫লাখ টাকা আমি কোন জায়গা থেকে যোগাড় করব? কোর্টে আসার সময় সামান্য আশা ছিলো নীলার ব্যাপারে। এখন নীলার কথা আর মাথায় আসছেনা। ৫লাখ টাকা ... কে দিবে আমাকে ৫লাখ টাকা? প্রেম-ভালোবাসা-বিয়ে-ডিভোর্স-দুঃখ-বেদনা-কান্না সবকিছুর ভাগ ত আমরা দুইজন সমান করেই পেলাম। দেনমোহরের ভাগটা কেনো আমার উপর পরল? এসি রুমের ঘুমিয়ে আর এসি গাড়ি চালানো নীলার ঐ টাকা দিয়ে এক মাসের শপিং হবে হয়ত কিন্তু আমার কাছে ঐ টাকার দাম একটা জীবন... ৫লাখ টাকা...৫লাখ টাকা... একটা প্রেমের দাম ।।