একটা জঙ্গলে একটা শেয়াল থাকতো, সে খুবই চালাক ছিল কিন্তু সে বুড়ো হয়ে যাওয়ার জন্য বেশি কাজ করতে পারতো না। কাজ বলতে তো একটাই, শিকার করে খাবার জোগাড় করা। শিকার করতে না পারলে খাবার তো আর আপনা আপনি তার কাছে আসবে না। তাই বুড়ো হওয়া সত্তেও তাকে কোন রকমে নিজেকেই খাবার জোগাড় করতে হত। কোন কোন দিন খাবার জুটত আবার কোন দিন আধপেটা খেয়ে বা না খেয়ে থাকতে হতো। এভাবেই সেই বুড়ো শেয়ালের দিন কাটছিল। একদিন জঙ্গলে ঘুরতে
এই নতুন সাইটিতে আপনারা বাংলায় ভালো ভালো গল্প পাবেন bangla galpo, gopal varer galpo, nitikathar galpo, bhuter galpo,hasir galpo
Sunday, 15 March 2015
Wednesday, 11 March 2015
প্রথম পুরস্কার
জীবনে সেই যা আমার পুরস্ককার লাভ – সেই প্রথম আর সেই শেষ। কিন্তু এ রকমটা যেন তোমাদের কারও কখনও না ঘটে।
ক্লাস টেন এ প্রমোশন পেয়েই মামাকে গিয়ে জানালাম।
টেন এ উঠেছিল! বলিস কিরে! মামা তো হতবাক। টেনে উঠলি? বাঃ!
এখনই বাঃ কি মামা? আসছে বছরে এনট্রান্স পরীক্ষা দেব, তা জানো?
বলিস কিরে! আমাদের বংশে কেউ যে কখনো এনট্রান্সের চৌকাঠ মাড়ায়নি। সাত জন্মে না। সাত পুরুষে নয়।
সাত পুরুষের খবর রাখি না, তবে তিন পুরুষের জানি। আমার মামা বাংলা পাঠশালায় পড়ুয়া, ছাত্রবৃত্ত পাশ। তারপর তিনি আর এগোন নি। নিজের ব্যবসা নিয়েই রয়েছে।
ক্লাস টেন এ প্রমোশন পেয়েই মামাকে গিয়ে জানালাম।
টেন এ উঠেছিল! বলিস কিরে! মামা তো হতবাক। টেনে উঠলি? বাঃ!
এখনই বাঃ কি মামা? আসছে বছরে এনট্রান্স পরীক্ষা দেব, তা জানো?
বলিস কিরে! আমাদের বংশে কেউ যে কখনো এনট্রান্সের চৌকাঠ মাড়ায়নি। সাত জন্মে না। সাত পুরুষে নয়।
সাত পুরুষের খবর রাখি না, তবে তিন পুরুষের জানি। আমার মামা বাংলা পাঠশালায় পড়ুয়া, ছাত্রবৃত্ত পাশ। তারপর তিনি আর এগোন নি। নিজের ব্যবসা নিয়েই রয়েছে।
Tuesday, 10 March 2015
মহাসংকটে পুরন্দর
পুরন্দরের আজ বড়ই দুর্দিন।
এমন ঘোর বিপদে সে বহুকাল পড়েনি। স্যান্যালবাবুদের ছোট ছেলে রাজুকে ভীমরুলের কামড় খাওয়াবার দোষটা পুরোপুরি তার ঘাড়ে বর্তেছে অথচ পুরন্দর ব্যপারটার মাথা মুন্ডু কিছুই জানত না। পরিকল্পনাটা পুরোটাই ধুরন্দরের।
হয়েছিল কি দ্বাদশবাড়ির জঙ্গলে কাঁচামিঠে আমের লোভে গিয়েছিলো দুভাইতে। ধুরন্ধরই লোভ দেখিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানেই একটা গাছের মগডালে পুঁটুলিতে বাঁধা কিছু সোনার গহনা পেয়েছিল তারা। বাড়িতে এনে পুরন্দরের স্কুল ব্যাগে লুকিয়ে রেখেছিল গহনাগুলো। বিকেলে অবশ্য দারোগা কাকু এসে নিয়ে গিয়েছিল পুঁটুলিটা। খবরটা বেশ চাউর হয়ে গিয়েছিল এলাকায়।
এমন ঘোর বিপদে সে বহুকাল পড়েনি। স্যান্যালবাবুদের ছোট ছেলে রাজুকে ভীমরুলের কামড় খাওয়াবার দোষটা পুরোপুরি তার ঘাড়ে বর্তেছে অথচ পুরন্দর ব্যপারটার মাথা মুন্ডু কিছুই জানত না। পরিকল্পনাটা পুরোটাই ধুরন্দরের।
হয়েছিল কি দ্বাদশবাড়ির জঙ্গলে কাঁচামিঠে আমের লোভে গিয়েছিলো দুভাইতে। ধুরন্ধরই লোভ দেখিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানেই একটা গাছের মগডালে পুঁটুলিতে বাঁধা কিছু সোনার গহনা পেয়েছিল তারা। বাড়িতে এনে পুরন্দরের স্কুল ব্যাগে লুকিয়ে রেখেছিল গহনাগুলো। বিকেলে অবশ্য দারোগা কাকু এসে নিয়ে গিয়েছিল পুঁটুলিটা। খবরটা বেশ চাউর হয়ে গিয়েছিল এলাকায়।
Friday, 6 March 2015
মধুসূদন মামার গল্প
একবার এক সময়ের কথা – একটা গ্রামে একটা বিধবা মহিলা বাস করতো, তার আর কেও ছিল না, ছিল একটা ছেলে তার বয়স আট বছর। মহিলাটির নাম ছিল কমলা আর তার ছেলের নাম ছিল বাদল। সেই মহিলা ছিলেন অত্যন্ত গরিব, ভিক্ষা করের তাদের দিন চলতো। তবুও তার ইচ্ছা ছিল তার ছেলেকে লেখাপড়া শেখাবে। তাদের গ্রামে কোন পাঠশালা ছিলো না, তাই তাকে পাশের গ্রামের পাঠশালায় ভর্তি করে দিয়েছিল।
Sunday, 1 March 2015
কৃপন শেয়ালের গল্প
একবার এক সময়ের কথা, একটা জঙ্গলের পাশের একটা গ্রামে একটা শিকার থাকতো, তার বাড়িতে সে আর তার বৌ দুজনাতে থাকতো। সে একজন শিকারি ছিল, তাই শিকার করে সেইসব পশুপাখির মাংস বিক্রি করে, যে টাকা পয়সা পেতো তাই দিয়েই তার সংসার চলতো। শিকার করার জন্য কোন কোন দিন তাকে গভীর জঙ্গলের ভেতরেও যেতে হোত, আবার কখনো বা খুব সহযেই শিকার পেয়ে যেতো।
Subscribe to:
Posts (Atom)