অবশেষে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে তীব্র যানজট পেরিয়ে যখন বারাদী বাজার (মেহেরপুর) এসে নামলাম তখন রাত ১.৫০ মিনিট। অন্ধকার তেন ছিলো না, মৃদু চাঁদের আলোয় ঝিঁঝি পোকারা ডাকছিলো। বাজারে একটা দোকানও খোলা নেই। আমি খুব ধীরে ধীরে ট্রাভেল ব্যাগটা কাঁধে নিয়ে হাঁটতে শুরু করলাম। এই মুহূর্তে আমি চূড়ান্ত রকম নিঃসঙ্গ। মোবাইলটা তিনবার 'লো-ব্যাটারি' সিগন্যাল দিয়ে বন্ধ হয়ে গেল।
এই নতুন সাইটিতে আপনারা বাংলায় ভালো ভালো গল্প পাবেন bangla galpo, gopal varer galpo, nitikathar galpo, bhuter galpo,hasir galpo
Sunday, 31 August 2014
Thursday, 28 August 2014
জ্ঞানী নাস্তিক মামা
জনৈক জ্ঞানী নাস্তিক মামা একদা ভ্রমন করিবার জন্য বিমানে উঠিলেন। তিনি লক্ষ করিয়া দেখিতে পাইলেন তাঁহার পাশের সিটে বসিয়া এক রুপবতী বালিকা মনোযোগ দিয়া বই পড়িতেছে। নাস্তিক মামা যার পর নাই আনন্দিত হইলেন। এই বালিকার সহিত গল্প করিয়া ভ্রমনের সময়টুকু কতটা আনন্দদায়ক হইবে তাহা ভাবিয়া তিনি পুলকিত হইলেন।
নাস্তিক মামা গলা খাকরি দিয়া বালিকাটিকে বলিলেন, "তুমি কি আকাশ ভ্রমনের সময়টুকু গল্প করিয়া কাটাইতে চাও? ইহাতে সময় দ্রুত কাটিয়া যাইবে।"
বালিকা সন্দেহের চোখে তাকাইয়া উত্তর দিল, "আপনি কি বিষয়ে গল্প করিতে চান?"
নাস্তিক মামা গলা খাকরি দিয়া বালিকাটিকে বলিলেন, "তুমি কি আকাশ ভ্রমনের সময়টুকু গল্প করিয়া কাটাইতে চাও? ইহাতে সময় দ্রুত কাটিয়া যাইবে।"
বালিকা সন্দেহের চোখে তাকাইয়া উত্তর দিল, "আপনি কি বিষয়ে গল্প করিতে চান?"
Wednesday, 27 August 2014
গুলের রাজা
একটি চা-এর দোকানে বসে কিছু অলস লোক আড্ডা মারতেছে। এক জন অন্য জনকে গুল মারে (অর্থাৎ মিথ্যা বলে) , বসে থাকা বাকি লোক জন শুনে। দোকান দারের কোন সমস্যা নাই বরং লাভ, দুই একটা চা বিক্রি করতে পারবে। এতো প্যাঁচাল করে সময় নষ্ট করে লাভ কি আসল কথাই আসি।
প্রথম জন বলেঃ আমার দাদার একটা কুত্তা (কুকুর) ছিল। মানুষের মত কথা বলতো আর গরুর মত ঘাস খেত!!!!!
দ্বিতীয় জনে বলেঃ আরে রাখ। তোর দাদার কুত্তার ছেয়ে আমার নানার বিড়াল ছিল বড় ডিয়ারিং।
Tuesday, 26 August 2014
কুমিল্লার লাকসামের ঘটনা
আমি নদী । গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার লাকসামে। ছোটবেলা থেকেই ঢাকায় থাকি । গ্রামে খুব একটা যাওয়া হয় না । বাবা অনেক জোর করে ৩ বছর আগে একবার ধরে নিয়ে গিয়েছিলেন গ্রামের বাড়িতে । ঢাকা থেকে লাকসাম কিন্তু বেশি দূরে না, অথচ পড়ালেখা আর ক্লাসের ঝামেলার কারণে এই অল্প দূরত্বই অনেক বেশি হয়ে দাঁড়ায় মাঝে মাঝে । যাই হোক, সেবার গ্রীষ্মের ছুটিতে বাবা, মা, আমি আর আমার ছোট ভাই জয় মিলে দাদা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম । বাবা গাড়ি চালাচ্ছিলেন ।
Monday, 25 August 2014
দুই বন্ধুর দেশ ভ্রমণ
দুই বন্ধু মিলে দেশ ভ্রমণে বের হলো। এদের একজন ছিল অন্ধ। হাঁটতে হাঁটতে ওরা এমন এক জায়গায় আসলো যেখানে রাতে খুব ঠান্ডা আর দিনে প্রচণ্ড গরম। দুই বন্ধু এক গাছের নীচে ঘুমিয়ে পড়লো। সকালে যে বন্ধু চোখে দেখতে পায়, সে খাবারের খোঁজে বের হলো। অন্ধ বন্ধুটি আশপাশে যা আছে তা ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখতে লাগলো।
একটি সাপ বরফে জমে অবশ হয়ে এক পাশে মরার মত শুয়ে ছিল। অন্ধ বন্ধুটি সাপটিকে ধরে ভাবলো এটি একটি লাঠি। সে খুব খুশী হয়ে সেটা হাতে নিল, ভাবলো পথ চলতে এটা তার অনেক কাজে লাগবে। মৃতপ্রায় সাপকে হাতে নিয়ে সে নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করলো।
একটি সাপ বরফে জমে অবশ হয়ে এক পাশে মরার মত শুয়ে ছিল। অন্ধ বন্ধুটি সাপটিকে ধরে ভাবলো এটি একটি লাঠি। সে খুব খুশী হয়ে সেটা হাতে নিল, ভাবলো পথ চলতে এটা তার অনেক কাজে লাগবে। মৃতপ্রায় সাপকে হাতে নিয়ে সে নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করলো।
Sunday, 24 August 2014
এক চুরির থেকে শিক্ষনীয় নীতি
ছোট বেলায় আমরা অনেকেই ইসপের গল্প পড়েছি যা আসলে ছিল নীতিকথা। এটা সেরকমি একটা গল্প যেটাতে বেশ কিছু নীতিকথা আছে।
একদল ডাকাত ব্যাংকে ঢুকল ডাকাতির জন্য। উপস্থিত গ্রাহক আর কর্মচারীরা বাধা দেবার চেষ্টা করল। ডাকাতেরা বলল " ভাইসব, টাকা গেলে সরকারের যাবে, আর প্রাণ গেলে যাবে আপনার। আপনারাই বুঝুন কোনটা বাঁচাবেন" - এই কথা শুনেসবাই বসে গেল। ডাকাতরা নির্বিঘ্নে টাকা নিয়ে গেল l
Sunday, 3 August 2014
দুঃখীকে সুখের সন্ধান দেয়ার এও একটা উপায়
এক লোকের বউয়ের সাথে খুব ঝগড়াঝাটি হতো। বঊটি ছিলো ভীষণ ঝগড়াটে।কোনদিন সে তার স্বামীকে সুখে থাকতে দিতো না।
একদিন সেই ভদ্রলোক কোন উপায় না দেখে কিছু পয়সা ও জামাকাপড় পোঁটলায় বেঁধে কোথাও চলে যাওয়ার জন্য মনস্থ করে রাস্তায় বেরিয়ে পড়লো।
নাসিরুদ্দিন সেই লোকটিকে মুখ ভার করে রাস্তার ধারে এমনভাবে বসে থাকতে দেখে প্রশ্ন করলেন, ' তোমার কী হয়েছে? কেন তুমি এমনভাবে রাস্তার ধারে বসে আছো?'
লোকটি বললো, 'জীবন একেবারে বিষের মত হয়ে গেছে আমার স্ত্রীর জন্য মোল্লা সাহেব! হাতে কিছু পয়সা আছে বটে কিন্তু মনে সুখ নেই। তাই দেশে দেশে ঘুরতে বেরিয়েছি। যেখানে কোন সুখের সন্ধান পাব, সেখানেই থেকে যাবো।'
একদিন সেই ভদ্রলোক কোন উপায় না দেখে কিছু পয়সা ও জামাকাপড় পোঁটলায় বেঁধে কোথাও চলে যাওয়ার জন্য মনস্থ করে রাস্তায় বেরিয়ে পড়লো।
নাসিরুদ্দিন সেই লোকটিকে মুখ ভার করে রাস্তার ধারে এমনভাবে বসে থাকতে দেখে প্রশ্ন করলেন, ' তোমার কী হয়েছে? কেন তুমি এমনভাবে রাস্তার ধারে বসে আছো?'
লোকটি বললো, 'জীবন একেবারে বিষের মত হয়ে গেছে আমার স্ত্রীর জন্য মোল্লা সাহেব! হাতে কিছু পয়সা আছে বটে কিন্তু মনে সুখ নেই। তাই দেশে দেশে ঘুরতে বেরিয়েছি। যেখানে কোন সুখের সন্ধান পাব, সেখানেই থেকে যাবো।'
Subscribe to:
Posts (Atom)