Wednesday 9 July 2014

মোল্লা নাসিরুদ্দিনের নেমন্তন্ন খাওয়া

 পাড়ার একজন তাঁকে সুনজরে দেখতেন না। নাসিরুদ্দিন সকলের কাছেই প্রিয় ছিলেন কিন্তু হাবু সাহেবকে কেউ পছন্দ করতেন না, সেই কারণেই তিনি নাসিরুদ্দিনকে হিংসা করতেন ।
হাবু সাহেবের মেয়ের বিয়ে। পাড়ার সবাইকে নিমন্ত্রণ করেছেন তিনি কিন্তু নাসিরুদ্দিনকে করেন নি। নাসিরুদ্দিনও জেদ ধরলেন যেমন করে হোক নেমন্তন্ন খেতে হবে। মোল্লার বুদ্ধি বের করতে দেরি হল না।
একটা খামের ওপর লোকটির নাম লিখে তার ভেতরে এক টুকরো সাদা কাগজ ভরে খামখানার মুখ বন্ধ করে বিয়ে বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হলেন মোল্লা। সকলে খেতে বসবে ঠিক সেই সময়েই উপস্থিত হয়ে বাড়ির মালিকের হাতে খামখানা দিয়ে বললেন, " বাদশাহ এই চিঠিখানা পাঠিয়েছেন।"

হাবু সাহেব খুব খুশি। স্বয়ং বাদশাহ নিশ্চয়ই মেয়ে-জামাইকে আশীর্বাদ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন। মনের আনন্দে তিনি মোল্লাকে খুব খাতির-যত্ন করে বসিয়ে খাওয়ালেন।
বেশ পেট ভরে খাওয়ার পর নাসিরুদ্দিন লোকটির কাছে বিদায় নিতে গেলে তাঁর চিঠির কথা মনে পড়ল। এতক্ষণ কাজের ব্যস্ততায় খামখানা খোলার সময় হয় নি।
খামখানা খুলে তো তিনি থ ! জিজ্ঞেস করলেন, " মোল্লা সাহেব, বাদশাহ তো কিছুই লিখেন নি। এর মধ্যে তো রয়েছে শুধু একখানা সাদা কাগজ।"
মোল্লা বললেন, " এর জবাব তো আমি দিতে পারব না, আমাকে চিঠিখানা হাতে দিয়ে পৌঁছে দিতে বললেন, আমি পৌঁছে দিয়েছি। আমার কাজ এখানেই শেষ। "