Saturday 27 September 2014

আমার চাচাতো ভাই নিপুন

আমার চাচাতো ভাই নিপুনের সাথে আমার সম্পর্ক অন্য সব ভাইবোনদের চেয়ে ভালো।। নিপুনের পরীক্ষা শেষ হলে ও চলে আসতো আমাদের বাসায়।। আমার পরীক্ষা শেষ হলে আমি চলে যেতাম তাদের বাসায়।।

যাই হোক, আপনাদের আজকে একটা কাহিনী বলবো, আমার এবং নিপুনের সম্পর্কে।। যদিও ঘটনাটি আমাদের পুরো পরিবারের সাথেই ঘটেছিলো তবে ভুক্তভোগী ছিলাম আমিই বেশি।।

ডিসেম্বর মাস।। নিপুনের পরীক্ষা শেষ।। আমারও পরীক্ষা শেষ।। তবে নিপুনের ঢাকায় কিছু
কেনাকাটা বাকি ছিল তাই সে এবার ঢাকায় চলে আসে।। বিকেলের বাসে রওনা দেয়, আমাদের বাসায় এসে পৌঁছায় রাত ৯ টার দিকে।।

বাসায় ঢুকেই সে দৌড়ে বাথরুমে চলে যায়।। কাউকে কোনও কথার সুযোগ না দিয়ে।। আমি অবাক হয়ে খেয়াল করলাম, তার পায়ের ফাঁক দিয়ে রক্ত পড়ছে।। কিন্তু কিছু জিজ্ঞেস করলাম না।।

Monday 8 September 2014

গল্পটা একটা রাক্ষসের

অভিজিত স্যার জেনেটিক্স ক্লাস নিচ্ছেন। আমরা চুপ করে তার কথা শুনছি। হঠাৎ আমার চোখ ঘুরে গেল সীমার দিকে। সীমা ইশারায় কিছু একটা বলল। ওর ইশারার অর্থ আমি যা বের করলাম, ‘ক্লাস শেষ হউক, বাইরে আয়, তোর খবর আছে।’ এমন ইশারার কারন বুঝতে আমার বেশিক্ষন লাগল না। গতকাল তন্বীর সাথে খারাপ ব্যবহার করেছি, তাই হয়তো সীমা ক্ষেপেছে। এটা অবশ্য নতুন কিছু না। তন্বীর প্রত্যেকটা কথা ভেঙানো, বিশ্রিভাবে ওর হাসি নকল করা, এককথায় ওকে বিরক্ত করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। এটা মনে করার কোন কারন নেই তন্বী আমাকে পছন্দ করে। সত্যি বলতে কি, আমার মধ্যে এমন কিছুই নেই যেটা দেখে কেউ আমাকে পছন্দ করতে পারে। উস্কো খুস্কো চুল, মুখ ভরা খোঁচা খোঁচা দাড়ি, পড়াশুনার ব্যাপারে ভীষণ উদাসীন, তাছাড়া সমস্ত চেহারায় আমার গুন্ডা গুন্ডা ভাব।

Sunday 7 September 2014

তাহলে আমাদের পৌছে দিলো কে

একটা ছোট ঘটনা শেয়ার করেছেন Muntacir Ahamed । সবাই পড়তে পারেন, কিন্তু উল্টাপাল্টা কমেন্ট করবেন না দয়া করে ।
সেদিন বিকালে পশ্চিম পাড়ায় ম্যাচ ছিলো বলে আমার আর অভির ফিরতে দেরি গেলো।আমরা থাকি উত্তর পাড়ায় ।সাধারণত পশ্চিম পাড়া থেকে আমাদের উত্তর পাড়ায় হেটে আসতে প্রায় আধ ঘন্টা লাগে।

Saturday 6 September 2014

রাক্ষস এক বাজ পাখির গল্প

হঠাৎ করেই বনের পাখিদের মধ্যে হুলস্থুল শুরু হয়ে গেলো। একটি বাজপাখি এই গন্ডগোলের কারণ। এটি যেন পাখি নয়, যেন রাক্ষস! সারাদিন শুধু খাই খাই। হাঁস খাবে, মুরগি খাবে, চড়ুই খাবে, টিয়া খাবে- খেতে বাজ পাখিটির কোন ক্লান্তি নেই।  কিছুতেই পেট ভরে না ওর।
বাজপাখিটির সকালের নাস্তায় ছোট-বড় মিলে দশ থেকে বারোটি পাখি লাগে। দুপুরের খাবারের জন্য পনের থেকে বিশটি, আর রাতে এর কম হলে চলে না। এ ছাড়াও সারাদিন সময়-সুযোগ পেলেই টিয়া, ময়না, চড়ুই, টুনটুনি আর বুলবুলি মিলে আট থেকে দশটি পাখি শিকার না করলে মনে হয় সারাদিন কিছুই খায়নি ও।
এভাবে প্রতিদিন প্রায় পঞ্চাশটি পাখি বাজপাখিটির পেটে যায়। এতে বন থেকে পাখির সংখ্যা দ্রুত কমে যেতে লাগলো।

Friday 5 September 2014

কাদের সাপ

গোপাল মাঝে মাঝে কারও না কারোর সঙ্গে নিজের বাড়ির দাওয়ায় বসে দাবা খেলতো। গোপালের সঙ্গে দাবা খেলার জ্ন্য প্রায়ই কেউ না কেউ দুই মাইল দূর থেকেও হেটে আসতেন।
 অন্ততঃ এক বাজি খেলতে না পারলে অথবা কারও সঙ্গে দাবায় হেরে গেলে গোপাল সে রাতে মোটেই ঘুমাতে পারতো না। সারারাত বিছানায় শুয়ে শুয়ে শুধু ছটফট করত।
দাবা খেলায় ভীষণ নেশা গোপালের বলতে গেলে, দাবা খেলার সময় গোপাল বাহ্যজ্ঞানই হারিয়ে ফেলত। একদিন গোপাল দাবা খেলছিল, আর এক চাল দিলেই কিস্তিমাত হয় আর কি?

Thursday 4 September 2014

কীর্তনখোলার গল্প

একটি সত্য ঘটনা। ভুত/প্রেত/জীন বিশ্বাস না করলে পড়বেন না কেউ।

আমার বাড়ি বরিশাল জেলার কীর্তনখোলা নদীর পাশেই। ছোটবেলা থেকে গ্রামে গঞ্জে থেকে মানুষ আমি ভূতের ভয় নেই বললেই চলে । অনেকের মুখে শুনেছি সন্ধ্যার পর কীর্তনখোলার পাশ দিয়ে হেঁটে গেলে নাকি অশরীরীর দেখা পাওয়া যায়। আমি কখনো এসব বিশ্বাস করতাম না। সেবার মামার বাড়িতে গিয়েছিলাম একটা কাজে। এক পরিচিত চাচার মোটর নৌকায় গিয়েছিলাম। বাসায় ফেরার পথে সন্ধ্যা হয়ে যায়। চাচার গঞ্জে কাজ ছিলো দেখে আমাকে বাড়ি থেকে বেশ খানিকটা দূরে নামিয়ে দেয়। আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন সমস্যা হবে নাকি।

Wednesday 3 September 2014

এক দাঁতের রাক্ষসের গল্প

রাক্ষস রাজ্যে আজ খুশির বন্যা বইছে। রাজ্যজুড়ে হুম, হাম, দুম, দাম শব্দ হচ্ছে। রাক্ষসরাজা মন্ত্রীকে ডাকলেন – মন্ত্রী?
- জি হুজুর।
- শব্দ এতো কম হচ্ছে কেন? শব্দ বাড়াতে হবে। তুমি শব্দের ব্যবস্থা করো।
- জি হুজুর। আমি এখনই যাচ্ছি। পুরো রাজ্য এবার টের পাবে, শব্দ কাকে বলে!
- ৬০০ বছর পর আমার একটা পুত্র হয়েছে, এটা কি আনন্দের সংবাদ নয়?

Tuesday 2 September 2014

এমন অসভ্য বাঁদর দেখেনি

গোপাল একবার বরযাত্রী হয়ে বিয়ে বাড়ীতে গিয়েছিল। কনে পক্ষের একজন বয়ষ্ক রসিক ব্যক্তি গোপালের সঙ্গে রসিকতা করার উদ্দেশ্যে বললে, এই যে গোপাল তুমিও দেখছি বরযাত্রী হয়ে এসেছ
। জানো তো ‍আমাদের এখানে অনেক বাদর আছে। এখানে বাদরের অত্যাচার ভীষণ।
অবশ্য তোমার চেহারও বাদরের মত। বাদরদের মধ্যিখানে তোমাকে মানাবে ভাল কি বলো?
বাদর যদি কেউ ইতিপূর্বে না দেখে থাকে- এ যাত্রায় বাদর দেখাও হয়ে যাবে আর

Monday 1 September 2014

সেই ব্যাপারে কেউ আজ পর্যন্ত জানতে পারে নি

ঘটনাটি আমার কাকার মুখ থেকে শোনা। আমার কাকার গ্রামের বাজারে একটা মুদি দোকান আছে। সেখানে হাটের দিন অনেক রাত পর্যন্ত বেচা কেনা হয়। কাকা মাঝে মাঝে আসতে আসতে নাকি রাত ১-২ টাও বেজে যেত। কাকার দোকানে সেলিম নামের এক কর্মচারী কাজ
করতো। সে কথা বলতে পারতো না। মানে, বোবা ছিল। কাকা তাকে খুবই আদর যত্ন করতো। সেলিমের তিনকুলে কেউ নেই। সে তার দুঃসম্পর্কের এক মামার বাড়িতে থাকতো। সেই লোক মারা যাওয়ার পর না খেয়ে ছিল। কাকার দয়া হয়। নিজের দোকানে তাকে কাজ দেন।