Monday 30 June 2014

রাজা ও রাজকন্যার গল্প

জয়নাব শান্তু
গল্পটি অনেক অনেক দিন আগেকার। তখন সোমগিরি  রাজ্যের রাজা ছিলেন ভীষণ পরাক্রমশালী। তার সাহস ও বিক্রমের কারণে আশেপাশের রাজ্যগুলো তার অধীনে চলে আসে। তার রাজ্য হয়ে ওঠে ভীষণ বড়। সম্পদে-ঐশ্বর্যে সেই রাজ্য ছিল পরিপূর্ণ।
এত ক্ষমতাধর হয়েও সোমগিরির রাজা ছিলেন ভীষণ দয়ালু। দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি তার ছিল অসীম ভালবাসা। প্রজাদের সুখ-দুঃখ আনন্দ-বেদনা নিয়েই তিনি সারাক্ষণ ভাবতেন। ফলে সেই রাজ্যের মানুষেরা ছিল খুব সুখি। কোনো কিছুর অভাব ছিল না তাদের। তারাও তাদের রাজাকে প্রাণের চেয়ে বেশি ভালোবাসতেন।

Tuesday 24 June 2014

দর্জির কাপড় চুরি

 অনেক অনেক পুরনো দিনের কথা। এক শহরে বাস করতো এক দর্জি। দর্জি মানে যারা জামা কাপড় সেলাই করে। কোনো কোনো এলাকায় দর্জিকে খলিফাও বলে। তো এই দর্জির কাজ ছিল ভালো। খারাপ যেটা ছিল তা হলো- চুরির অভ্যাগ। যে-ই জামা কাপড় সেলাইয়ের অর্ডার দিত, তার কাপড় থেকে সে কিছু অংশ চুরি করত। এই চুরি করাটা ছিল তার একটা বাহাদুরি। যদিও এই বাহাদুরির কোনো ভালো দিক নেই। চুরি তো চুরিই। সে যত ছোটই হোক কিংবা বড়। কাপড় চুরি করাটাকে সে দক্ষতা এবং শিল্পনৈপুণ্য বলে মনে করত। সবাই জানত দর্জি চুরি করে। সবাই তাই চেষ্টাও করেছে তার কাপড় চুরি ধরতে কিন্তু কেউই পারেনি। সবার সামনেই সে কাপড় কেটে নেয় তবুও না। অথচ জামা তৈরি করে দেয়ার পর সে সবাইকে তার চুরি করা কাপড়ের টুকরো দেখিয়ে বেড়াত।
 এত সূক্ষ্মভাবে সে চুরি করত যে কোনোভাবেই ধরা যেত না। লোকজন দর্জির কাছে কাপড় নিয়ে যাবার আগে বন্ধুবান্ধবকে

Monday 23 June 2014

ঈশপের অপ্রচলিত গল্প :একটি উইল

পঞ্চম শতাব্দীতে গ্রিসে তাঁর গল্পের জন্য খুবই জনপ্রিয় ছিলেন। গ্রিক ঐতিহাসিক হেরোডোটাস বলেন, তিনি মিসরের ফারাও আমাসিসের সময়কার লোক। সামস দ্বীপে বাস। ওখানেই ইয়াডমন নামে এক নাগরিকের ক্রীতদাস ছিলেন তিনি। তবে অনেকের মতে, ঈশপ ছিলেন ওই ইয়াডমনের আত্মীয়। জন্মসূত্রে ঈশপ ছিলেন থ্রেসিয়ান বা ফ্রাইজিয়ান। শোনা যায়, ডেলফিয়ার এক মন্দির থেকে একটি বাটি চুরির অপরাধে ডেলফিয়াবাসী তাঁকে পাহাড়ের চূড়া থেকে ফেলে হত্যা করে। এরিস্টোফেনেসের মতে, মন্দিরের বাটিটি ঈশপের ঝোলার মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে চোর অপবাদে তাঁকে হত্যা করা হয়। ঈশপ দেখতে ছিলেন কদাকার কিন্তু বুদ্ধিতে ছিলেন অপরাজেয়, রঙ্গরসে অদ্বিতীয়। তিনি অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে আর তোতলামি করে শোনাতেন তাঁর শিক্ষাপ্রদ অমর কাহিনিগুলো।

অসুখ-সেরে গেছে হুজুর

গোপালের প্রখর ভাবে স্মৃতি-শক্তি ছিল। ভালভাবে বলতে হলে বলা যায় অসাধারণ। তার মনের পর্দায় যেন সবকিছু ছাপা হয়ে যায় অবিকল। হাবভাব এমনকি কথার টুকিটাকিও। সাধারণ মানুষের মধ্যে অমন স্মৃতি-শক্তি থাকার কথা নয়। একবার নিশ্চিব্দি পুরের জমিদার ঘোড়ায় চড়ে যেতে যেতে না পাড়ায় মোড়ে গোপালকে দেখেতে পেয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলেন গোপাল তোমার অসুখ সেরেছে তো? গোপাল কোন জবাব

রহিমার রহস্যময় বিয়ে

ঘটনার সময়কাল ১৯৪০। গ্রাম তো দুরের কথা, তখন অনেক মহকুমা শহরেও বিদ্যুতের নাম গন্ধ ছিলো না। রহিমার বাস কদমতলি গ্রামে। কদমতলি গ্রামের নাম শুনেছেন তো? ওই যে আমাদের পাশের গ্রামের শেষ প্রান্তে বড় যে আমবাগান ছিলো, তার পশ্চিমপাশের গ্রামটা। - এ কথা বলে মিজান সাহেব একটু দীর্ঘ থামলেন। মিজান সাহেব আমাদের পাশের বাড়ীতে থাকেন। বয়স প্রায় ৮০ ছুই ছুই। সন্ধ্যার পরআমাদের আড্ডা হয় তার দোতলা বাড়ীর ছাদে। মিজান সাহেবের ছাদ আবার একটু অন্ধকার। গাছের আড়ালের কারণে ল্যাম্পপোস্টের আলো পুরোপুরি পৌছায় না। একেবারেই ভুতুড়ে পরিবেশ।আজ হঠাত করে