Thursday 17 July 2014

ইলিশ মাছ রহস্য

গঙ্গার ধারে একদিন কথাপ্রসঙ্গে মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র গোপালকে বললেন, আমাদের বাঙ্গালীর মধ্যে ইলিশ মাছ দেখলেই লোকে দাম জিজ্ঞাসা করে, এর কারণ কি? গোপাল উত্তর দিল, এটা বাঙ্গালীর স্বভাব মহারাজ। তবে আমি যদি ইলিশ মাছ নিয়ে বাড়ী ফিরি আমাকে কেউ দাম জিজ্ঞাসা করবে না। এ অসম্ভব, হতেই পারে না, লোকে দাম জিজ্ঞাসা করবেই! মহারাজ বললেন। গোপাল মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রকে বললে, আমি নদীর ধার থেকে হাতে করে বাড়ি পর্যন্ত ইলিশ মাছ নিয়ে যাব, আমায় কেউ একবারও দাম জিজ্ঞেস করবে না। আমি হলফ করে বলতে পারি পরখ করে দেখতে পারেন……….. মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র বললেন, তা অসম্ভব! লোকালয় দিয়ে ইলিশা মাছ হাতে করে নিয়ে গেলে কেউ না কেউ তোমায়দাম জিজ্ঞাসা করবেই না করে পারেই না। আমি আজ পর্যন্ত সবসময়ই দেখে আসছি এবং শুনেও আসছি। গোপাল আবার জোর গলায় বললে, ইলিশ নিয়ে আমি নদীর পাড় থেকে লোকের ভিড়ের মধ্য দিয়ে বাড়ি পর্যন্ত যাব, আমার কাছে একবাও কেউ দাম জিজ্ঞেস করবে না দেখতে পারেন।

Wednesday 9 July 2014

মোল্লা নাসিরুদ্দিনের নেমন্তন্ন খাওয়া

 পাড়ার একজন তাঁকে সুনজরে দেখতেন না। নাসিরুদ্দিন সকলের কাছেই প্রিয় ছিলেন কিন্তু হাবু সাহেবকে কেউ পছন্দ করতেন না, সেই কারণেই তিনি নাসিরুদ্দিনকে হিংসা করতেন ।
হাবু সাহেবের মেয়ের বিয়ে। পাড়ার সবাইকে নিমন্ত্রণ করেছেন তিনি কিন্তু নাসিরুদ্দিনকে করেন নি। নাসিরুদ্দিনও জেদ ধরলেন যেমন করে হোক নেমন্তন্ন খেতে হবে। মোল্লার বুদ্ধি বের করতে দেরি হল না।
একটা খামের ওপর লোকটির নাম লিখে তার ভেতরে এক টুকরো সাদা কাগজ ভরে খামখানার মুখ বন্ধ করে বিয়ে বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হলেন মোল্লা। সকলে খেতে বসবে ঠিক সেই সময়েই উপস্থিত হয়ে বাড়ির মালিকের হাতে খামখানা দিয়ে বললেন, " বাদশাহ এই চিঠিখানা পাঠিয়েছেন।"

Monday 7 July 2014

ভৌতিক গল্প :[ভূতুড়ে বাড়ির গল্প]

ধানমণ্ডি ৩২ নাম্বারে একটা বাড়ি রয়েছে।। এটা ১৯৫০ সালের দিকে তৈরি করা হয়।। বাড়িটা ২তলা বিল্ডিং এবং এটা একটু ভিতরের দিকে।। বাড়ির পিছনেই রয়েছে ধানমণ্ডি লেকের একটা অংশ।। ঘটনা যার কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে তিনি জীবনের একটা বড় অংশ এই বাড়িতে কাটিয়েছেন।। তিনি ও তার ফ্যামিলি যখন এই বাড়িটাতে থাকতেন তখন প্রতিরাতে ১২ টার পর লেকের পানিতে ঝাঁপ দিয়ে কারো পড়ার আওয়াজ পাওয়া যেতো।। তিনি/তারা আওয়াজ পাওয়ার পর শুধুই পানিতে ঢেউ দেখতেন কিন্তু আসে পাশে কাউকে দেখা যেতো না।। এটা প্রতি রাতেই ঘটত লেকের পানিতে।। এছাড়া বাড়ির মালিক একটা কুকুর

Sunday 6 July 2014

এটাও একটা প্রেমের গল্প

আমি সম্পাদক সাহেবের সামনে বসে আছি। আমাদের অফিসের তিন তলায়। জরুরি মিটিং হচ্ছে। এর মধ্যে এই এসএমএস। আমি মোবাইল ফোনটা টেবিলের নিচে নামিয়ে সবার অগোচরে এসএমএস করি : ১০টা মিনিট বসো। আসতেছি। তারপর বেমালুম ভুলে যাই হিমেলের কথা। মিটিং থেকে বেরোই দেড় ঘণ্টা পরে। রুমে এসে দেখি, হিমেল আশরাফ একটা চিরকুট রেখে গেছে আমার কম্পিউটারের কি-বোর্ডের ওপরে। স্যার, আমি আপনাদের ক্যান্টিনে।আমি ক্যান্টিনে যাই। বলি, একদম ভুলে গেছি হিমেল। স্যরি। আসো, চা খাই।স্যার, চা তো স্যার তিন কাপ খেয়ে ফেললাম।ও। তাইলে আমি খাই। শোনো, কী বলবা বলো।স্যার, একটা গল্প পাইছি স্যার। আপনি লিখলে নাটক করতে পারি। আমি তো মিয়া নাটক লেখা ছেড়ে দিছি। কী গল্প?
বলব?
বলো।

স্বপ্নে প্রাপ্ত Swapne prapti

সোহেল লেহস


গত তিন মাস ধরে লিনা নামের এক মেয়ের সাথে চুটিয়ে প্রেম করছি। অসম্ভব রকমের মিষ্টি গলা লিনার। সে গান গায়। যখন আমাকে রবীন্দ্র সংগীত গেয়ে শোনায় আমার বুকের ভেতর চিন চিন করে ব্যাথা করে। যার গলার স্বর এত শ্রুতি মধুর সে না জানি দেখতে কত সুন্দর! লিনাকে আমি কখনও সামনা সামনি দেখিনি।
আধুনিক যুগে মানুষের সাথে পরিচয়ের অনেক মাধ্যম হয়েছে। মোবাইলের কথা না হয় বাদই দিলাম, ইন্টারনেট এখন অনেক সহজলভ্য। ফেস বুক, স্কাইপ, ভাইবার আরও কত কি করে মানুষের সাথে মানুষের কথা হচ্ছে, পরিচয় হচ্ছে, এমনকি বিয়ে সাদীও হয়ে যাচ্ছে। লিনার সাথে আমার কিন্তু এসবের কোন কিছুতেই পরিচয় হয়নি। তাঁর সাথে আমার পরিচয় হয়েছিল খুবি সনাতন পদ্ধতিতে। লিনাকে আমি পেয়েছিলাম স্বপ্নে।

Wednesday 2 July 2014

রাক্ষস আর রাখালের গল্প

এক দেশে এক রাখাল ছিল। সে খুব সহজ সরল আর প্রান চঞ্চল বালক ছিল। সে দেখতে সুন্দর আর বলবান ছিল। সারাদিন ভেড়া চড়াতো মাঠে আর অবসরে গান গাইত আর বাঁশি বাজাত। তার গান শুনে বনের পশুপাখিরাও মন মুগ্ধ হয়ে সে গান শুনতো। সেই দেশের সাবাই রাখালকে অনেক ভালোবাসতো। সে দেশে এক ভয়ংকর রাক্ষস ছিল। সে সাবাইকে কষ্ট দিত। কারো বাড়ীর ছাগল নিয়ে যেত, কারো বাড়ীর গরু নিয়ে যেত। মাঝে মাঝে ইচ্ছে হলে মানুষকে নিয়ে যেত। কিন্তু সে রাখাল ছেলেকে সহ্য করতে পারতো না, কেননা গ্রামের সবাই রাক্ষসকে ভয় পেত কিন্তু রাখাল তাকে ভয় পেত না। আর এটা রাক্ষস কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলো না।
এক দিন সে শিকার করতে যাচ্ছিলো। তখন সে রাখাল ছেলের গান শুনতে পেল। রাখাল ছেলের গান শুনে সে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে গেলো। সে রাখাল ছেলের গান আর বাঁশি বাজানো শুনে রাখাল ছেলেকে পছন্দ করে ফেললো। সে

Tuesday 1 July 2014

ডিম ফ্রাই আর টুকটুকি

ডিম ফ্রাই, ডিম ফ্রাই, ডিম ফ্রাই। ডিম ফ্রাই ছাড়া আর কিচ্ছু বোঝে না টুকটুকি। উঠতে, বসতে, ঘুরতে, ফিরতে টুকটুকির ডিম ফ্রাই খাওয়া চাই-ই চাই।
ডিম ফ্রাই ছাড়া অন্য কোনো খাবার দেখলেই মাথা ঘুরে ওঠে টুকটুকির। ডিম ছাড়া দুনিয়ার আর সব খাবার তার অপছন্দের। তাই তো বাবা রোজ ১০টা করে ডিম কিনে রাখেন ফ্রিজে। বাবাকে ডিম আনতে দেখলেই টুকটুকি খুশিতে এক লাফে বাবার কোলে গিয়ে ওঠে।